সর্বশেষ

সারাদেশ

বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধস ও বন্যার আশঙ্কা, খুলেছে ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র

মো. আরিফ, বান্দরবান
মো. আরিফ, বান্দরবান

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫ ৬:০৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে টানা দু’দিনের ভারী বর্ষণ এখনও অব্যাহত রয়েছে। দমকা হাওয়ার সঙ্গে চলমান এই বৃষ্টিপাতে পাহাড়ধস ও আকস্মিক বন্যার শঙ্কায় আতঙ্কিত জেলার সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত থেকে শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ১১টা পর্যন্ত একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে শহরের বনরূপা, হাফেজঘোনা, মেম্বারপাড়া এলাকার নিচু জায়গাগুলোতে পানি সড়ক উপচে প্রবাহিত হচ্ছে, যার ফলে দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।

এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবান-রুমা সড়কের মুরুং বাজার ও খুমী পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। একইভাবে জেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসন, পৌরসভা এবং ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জরুরি সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। বিশেষ করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে বান্দরবান সদরে ৪৬টি, রুমা উপজেলায় ২৮টি, রোয়াংছড়িতে ১৯টি, থানচিতে ১৫টি, লামায় ৫৫টি, আলীকদমে ১৫টি এবং নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।

বান্দরবান আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, গতকাল সন্ধ্যা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফলে পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।

জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারকি জোরদার করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসও ঝড় ও দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্রিয় রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

পাহাড়ি অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে আবারও আহ্বান জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতি নজরদারির জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, যার তত্ত্বাবধানে রয়েছেন একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও একজন সহকারী কমিশনার।

১৩৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন