সর্বশেষ

জাতীয়

বাজারে স্বস্তির নাম এখন ব্রয়লার, মাছ-মাংসে অগ্নিমূল্য

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫ ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকার বাজারে ক্রমাগত বাড়তে থাকা খাদ্যপণ্যের দামে যখন ভোক্তারা নাজেহাল, তখন একমাত্র স্বস্তির নিশান হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্রয়লার মুরগি।

গরু ও খাসির মাংসের দাম যেখানে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে, সেখানে ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর রামপুরা ও বাড্ডা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়—যা গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কম। সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩০–২৬০ টাকায়। তবে দেশি মুরগির বাজার এখনও বেশ চড়া, কেজিপ্রতি ৫৫০–৬০০ টাকা।

গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০–৮০০ টাকায়, আর খাসির মাংস ১১০০ টাকার কাছাকাছি। ছাগলের মাংসের দামও একই রকম। ডিমের দামও রয়েছে স্থির উচ্চতায়—প্রতি ডজন ডিম ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।

মাছের দামেও বড় ধরনের স্বস্তি নেই। রুই, কাতলা, পাবদা, চিংড়ি, শিং, টেংরা, কৈসহ অধিকাংশ মাছের দাম ৩০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। দেশি শিং ও কৈ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকায়—যা অনেকের জন্য বিলাসিতা মাত্র।

বাজারে কথা বলে জানা গেছে, অনেক ক্রেতাই গরু বা খাসির মাংসের পরিবর্তে এখন নিয়মিত ব্রয়লার মুরগিই কিনছেন। রামপুরা বাজারে কথা হয় গৃহিণী শিরিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি বলেন, “ছেলেমেয়েরা গরুর মাংস খেতে চায়, কিন্তু এখন সেটা হাতের নাগালে নেই। তাই বাধ্য হয়ে মুরগি কিনছি।”

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রোটিনজাত পণ্যের দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার নজরদারি না বাড়ালে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির খাদ্য নিরাপত্তা হুমকিতে পড়তে পারে বলেও সতর্ক করছেন তারা।

১৩৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন