সর্বশেষ

অপরাধ

বাংলাদেশ ব্যাংকে ১২ বছরের প্রতারণা করে চাকরি, বরখাস্ত দুই কর্মকর্তা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ২৯ মে, ২০২৫ ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে ১২ বছর ধরে চাকরি করে আসছিলেন মো. আবদুল ওয়ারেশ আনসারী নামে এক ব্যক্তি।

অবশেষে এক অভ্যন্তরীণ তদন্তে বিষয়টি ফাঁস হলে তাকে চাকরিচ্যুত এবং এই প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগে তার চাচা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মো. শাহজাহান মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ৩১তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডার বেছে নেন প্রকৃত মো. আবদুল ওয়ারেশ আনসারী, যিনি বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে কর্মরত। একই বছরে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদেও উত্তীর্ণ হন, কিন্তু যোগ না দিয়ে বিসিএসে যোগ দেন।

কিন্তু তার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক প্রতারক, যার প্রকৃত পরিচয় এখনও প্রকাশ পায়নি, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকে ২০১৩ সালের ২২ জুলাই সহকারী পরিচালক পদে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রাজশাহী অফিসে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, তদন্তে প্রতারকের সঙ্গে নিয়োগ শাখার তৎকালীন উপপরিচালক এবং তার চাচা মো. শাহজাহান মিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। শাহজাহান বর্তমানে অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতারক ওয়ারেশ আনসারীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত এবং শাহজাহান মিয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তে শাহজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে আরও প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও স্থায়ী বহিষ্কারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রকৃত আবদুল ওয়ারেশ আনসারী জানান, ২৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে বিষয়টি জানালে তিনি প্রথম বুঝতে পারেন তার পরিচয় ব্যবহার করে কেউ দীর্ঘদিন চাকরি করেছে। তিনি বলেন, "আমি বিসিএসে যোগ দেওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগপত্র পেলেও তা গ্রহণ করিনি। পরে জানতে পারি, আমার পরীক্ষার খাতা ও কাগজপত্র ব্যবহার করেই এই প্রতারণা করা হয়েছে।"

এ বিষয়ে প্রতারক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। শাহজাহান মিয়ার সাথেও যোগাযোগ করা হলে তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রতারণা টিকিয়ে রাখার মূল কৃতিত্ব শাহজাহান মিয়ার। বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন এবং শিগগিরই চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অপরাধ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন