সর্বশেষ

শিক্ষা

তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতিতে সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে টানা তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষকরা।

সহকারী শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, তারা মূলত দশম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের মতে, কমপক্ষে একাদশ গ্রেড হলেও তা গ্রহণযোগ্য হতো। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া দ্বাদশ গ্রেডের সুপারিশ শিক্ষকদের মর্যাদার পরিপন্থী ও অবমাননাকর।

আজ বুধবারও দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ছবি আঁকা, খেলাধুলা এবং অন্যান্য সৃজনশীল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে শিক্ষকদের দাবি, তারা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখেই কর্মসূচি পালন করছেন।

আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এর আগে ৫–১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়। এরপর ১৬–২০ মে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা এবং ২১–২৫ মে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। আজ থেকে শুরু হওয়া পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তবে নির্ধারিত পরীক্ষাগুলো কর্মসূচির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

এদিকে আন্দোলনের মাঝেও বিভিন্ন বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর প্রশাসনিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, কর্মবিরতি চলছে না এমন মিথ্যা তথ্য লিখিতভাবে দিতে চাপ দিচ্ছেন স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, “নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় গণহারে শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে। তবু আমরা পিছিয়ে যাব না। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি সফলভাবে পালিত হচ্ছে।”

শিক্ষকদের এই আন্দোলন নিয়ে প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়, তা এখন সবার নজর কাড়ছে। তবে শিক্ষকদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট নেতারা।

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি:

১. কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ যৌক্তিকভাবে সংশোধন করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পেতে যে জটিলতা রয়েছে তা দূর করা।

৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন