বাংলাদেশের আপত্তি সত্ত্বেও ভারতীয় ‘পুশ-ব্যাক’ কার্যক্রম অব্যাহত

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক আপত্তি ও উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও ভারত অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্ত পথে ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়ায়ার এবং দ্য হিন্দু-এর বরাতে জানা যায়, সম্প্রতি শতাধিক বাংলাদেশিকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আটক করে আগরতলায় পাঠানো হয়েছে, যেখান থেকে তাদের স্থলপথে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
গত ২৫ মে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে প্রায় ১৬০ জন অনিবন্ধিত বাংলাদেশিকে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে আগরতলায় আনা হয়। এই দলটিতে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত ‘পুশ-ব্যাক’ নীতির আওতায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার বিষয়টিকে গুরুতরভাবে দেখছে। ৮ মে ভারত সরকারকে পাঠানো একটি কূটনৈতিক চিঠিতে ঢাকা এই ধরনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং প্রচলিত ও সম্মত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া মেনে চলার আহ্বান জানায়।
২৬ মে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স ডিরেক্টরেটের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা বলেন, “এই ধরনের পুশ-ইন বাংলাদেশের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়।” তিনি আরও সতর্ক করেন, সীমান্তে এমন কর্মকাণ্ডের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এর আগে ৪ মে গুজরাট থেকে আটক করা প্রায় ৩০০ বাংলাদেশিকে (যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু) এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি বিশেষ ফ্লাইটে করে আগরতলায় আনা হয় এবং পরে তাদেরও সীমান্ত পথে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও পরিচয়পত্র বাতিল করার পর তাদের বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে বিএসএফ সরাসরি সীমান্ত পথেই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
পেহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পূর্ব সীমান্ত দিয়ে পাঁচ শতাধিক বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে ভারতীয় সূত্র জানিয়েছে।
১২৩ বার পড়া হয়েছে