সর্বশেষ

মতামত

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের জাপান সফর ও প্রাসঙ্গিক বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল

মনজুর এহসান চৌধুরী 
মনজুর এহসান চৌধুরী 

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ৫:৫৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে চার দিনের সরকারি সফরে ২৮ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত জাপান যাচ্ছেন। তিনি ২৭ মে রাতে ঢাকা থেকে টোকিওর উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং ৩১ মে সফর শেষে দেশে ফিরবেন।

কি সেখানে নিক্কেই ৩০তম ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলন: ২৯-৩০ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য এই সম্মেলনে মূল বক্তা হিসেবে plenary session-এ বক্তব্য দেবেন। ৩০ মে টোকিওতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠক হবে। এখানে বাজেট সহায়তা, কৌশলগত অংশীদারত্ব, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনশক্তি রপ্তানি, নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও আঞ্চলিক-আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সফরে দুই দেশের মধ্যে মোট সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, এনার্জি, বিনিয়োগ, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জনশক্তি রপ্তানি ইত্যাদি খাত অন্তর্ভুক্ত। বাংলাদেশ জাপানের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা) ‘সফট লোন’ আকারে বাজেট সহায়তা চাইবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে। এছাড়া বাংলাদেশী শ্রমিক নেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনায় হবে। এ সফরে ড. ইউনূসকে জাপানের সোকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে।


ড. ইউনূসের আসন্ন জাপান সফর এবং বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার প্রেক্ষাপটে বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের প্রসঙ্গ অত্যন্ত কার্যকর ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের টোকিও ট্রায়াল–এ জাপানের পক্ষে ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার পক্ষে অবস্থান জাপানিদের কাছে আজও গভীরভাবে স্মরণীয়। তার নাম জাপানে “বন্ধু” ও “সমর্থক” হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত, এবং জাতিগতভাবে সম্মানিত।


ভারত-জাপান কূটনীতিতে বিচারপতি পালের নাম বারবার উল্লেখ করা হয় বন্ধুত্ব, আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও তার প্রসঙ্গ এসেছে, যা দুই দেশের জনগণের মধ্যে ইতিবাচক আবেগ তৈরি করেছে। ২০০৫ সালে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এবং জাপানি প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি-র বৈঠকে বিচারপতি রাধা বিনোদ পালকে ভারত কৌশলগতভাবে “ক্যাশ” করে। ২০০৬ সালে মনমোহন সিং জাপানের সংসদে এবং ২০০৭ সালে শিনজো আবে ভারতের সংসদে এই ঐতিহাসিক বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের প্রসঙ্গ ভারত-জাপান সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি “কূটনৈতিক সেতুবন্ধন” হিসেবে কাজ করেছে, যার ফলে ভারত জাপানের কাছ থেকে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ বহু ধরনের সুবিধা আদায় করতে পেরেছে।


বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল কুষ্টিয়ার সন্তান, অর্থাৎ তিনি বাংলাদেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন। ফলে, তার ঐতিহাসিক অবদানকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হলে জাপানিদের কাছে বাংলাদেশের প্রতি ইতিবাচক আবেগ ও আস্থার পরিবেশ আরও দৃঢ় হবে। এতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বিচারপতি পালের ন্যায়-নীতি, মানবিক মূল্যবোধ এবং উপনিবেশবিরোধী অবস্থান জাপানিদের কাছে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ড. ইউনূসও মানবিক উন্নয়ন ও সামাজিক ব্যবসার জন্য জাপানে জনপ্রিয়; এই দুই ব্যক্তিত্বের মূল্যবোধের মিল দুই দেশের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও মানবিক সংযোগ আরও গভীর করতে পারে।

রাধা বিনোদ পালের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:

২৭ জানুয়ারি ১৮৮৬, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের শালিমপুর গ্রামে অর্থাৎ তৎকালীন বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারতে (বর্তমানে বাংলাদেশ) জন্মগ্রহণ করেন। পিতা বিপিন বিহারী পাল, মাতা মগ্নময়ী পাল। পরিবার ছিল কুমার (মৃৎশিল্পী) সম্প্রদায়ভুক্ত, আর্থিক অবস্থা ছিল দুর্বল। ছোটবেলায় পরিবারে দারিদ্র্য ও অনিশ্চয়তা ছিল, পিতা সংসার ত্যাগ করেছিলেন, মা-ই ছিলেন তার প্রধান অনুপ্রেরণা ও নৈতিক শক্তি। স্থানীয় স্কুলে পড়াশোনা শুরু, পরে রাজশাহী কলেজ থেকে ১৯০৩ সালে এন্ট্রান্স ও ১৯০৫ সালে এফ.এ. পাস করেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ, কলকাতা থেকে গণিতে বিএ (১৯০৭) ও এমএ (১৯০৮) ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯১১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এল. (ব্যাচেলর অফ ল) এবং ১৯২০ সালে এলএল.এম (প্রথম শ্রেণিতে প্রথম) ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯২৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পিএইচডি (LLD) ডিগ্রি অর্জন করেন, বিষয় ছিল “হিন্দু আইন দর্শন”।

আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ-এ গণিতের শিক্ষক ছিলেন; পরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কলেজে ১৯২৩-১৯৩৬ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করেন। ময়মনসিংহ বার-এ আইন চর্চা শুরু করেন, পরে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পান। ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ ভারতের সরকার তাকে আইন উপদেষ্টা নিয়োগ করে। ১৯৪১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক হন। ১৯৪৪-৪৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। ১৯৪৬-৪৮ সালে টোকিও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেন। 


টোকিও ট্রায়ালে ভুমিকা:

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের যুদ্ধাপরাধের বিচার, অর্থাৎ টোকিও ট্রায়ালে, একমাত্র ভারতীয় (বাঙালি) বিচারপতি রাধা বিনোদ পাল যে ভূমিকা রেখেছিলেন, তা ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তিনি ছিলেন আন্তর্জাতিক সামরিক ট্রাইব্যুনালের (International Military Tribunal for the Far East) ১১ জন বিচারকের একজন, এবং একমাত্র বিচারক যিনি জাপানের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগে ‘নির্দোষ’ (Not Guilty) রায় দিয়েছিলেন।

এই বিচারকার্যে আরো ১০ জন বিচারক ছিলেন। স্যার উইলিয়াম ওয়েব (অস্ট্রেলিয়া), এডওয়ার্ড স্টুয়ার্ট ম্যাকডুগল (কানাডা), মেই জু-আও (মেই রুয়াও) (চীন), অ্যাভোকাট জেনারেল অঁরি বার্নার্ড (ফ্রান্স), প্রফেসর বার্ট রোলিং (নেদারল্যান্ডস), এরিমা হার্ভি নর্থক্রফট (নিউজিল্যান্ড), কর্নেল ডেলফিন জারানিলা (ফিলিপাইন), লর্ড প্যাট্রিক (যুক্তরাজ্য), এবং জন পি. হিগিন্স / মেজর জেনারেল মাইরন সি. ক্র্যামার (যুক্তরাষ্ট্র)।

রাধা বিনোদ পাল তিনি তার ১২৩৫ পৃষ্ঠার (প্রকাশিত রায় ৮০০ পৃষ্ঠা) বিশ্লেষণধর্মী রায়ে বলেন, জাপানকে এককভাবে যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী করা চরম ভুল, কারণ মিত্রশক্তিসহ অন্যান্য দেশও ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধ করেছে, যার অন্যতম উদাহরণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা। জাপানের বিরুদ্ধে যে অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলোর জন্য যুদ্ধের সময় কোনো আন্তর্জাতিক আইন ছিল না—পরবর্তীতে আইন তৈরি করে আগের অপরাধের বিচার করা ন্যায়সঙ্গত নয় (ex post facto law)। যুদ্ধাপরাধের জন্য যদি জাপানের বিচার হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ মিত্রশক্তিকেও একইভাবে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তার মতে, ট্রাইব্যুনাল ছিল বিজয়ী শক্তির প্রতিশোধের মাধ্যম, এবং এতে ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার অভাব ছিল। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “আমি মনে করি, অভিযুক্ত প্রত্যেককে প্রত্যেক অভিযোগে নির্দোষ ঘোষণা করা উচিত এবং সকল অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত”। তার দৃষ্টিতে, জাপান আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করেছে এবং তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তা ও উপনিবেশবাদ থেকে মুক্তি। পারমাণবিক বোমা হামলা ছিল ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস অপরাধ এবং জাপানকে দোষী সাব্যস্ত করা হলে মিত্রশক্তির আরও কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। 


অধিকাংশ বিচারক অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করলেও তিনজন বিচারক (রাধা বিনোদ পাল, নেদারল্যান্ডসের বার্ট রোলিং, ফ্রান্সের অঁরি বার্নার্ড) ভিন্নমত পোষণ করেন। বিচারপতি পাল সব অভিযুক্তকে নির্দোষ ঘোষণা করেন। টোকিও ট্রায়ালের মাধ্যমে জাপানের শীর্ষ নেতৃত্বের যুদ্ধাপরাধের বিচার হয়, ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৬ জনের যাবজ্জীবনসহ মোট ২৫ জনকে বিভিন্ন সাজা দেওয়া হয়, এবং এটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ বিচারের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে। এই ট্রায়ালের মাধ্যমে জাপানকে বিশাল অংকের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়নি। ট্রায়ালটি আন্তর্জাতিক আইন ও যুদ্ধাপরাধ বিচারে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, যদিও ‘বিজয়ীদের বিচার’ (victor’s justice) নিয়ে বিতর্কও সৃষ্টি হয়।


জাপানিদের শ্রদ্ধা:

জাপান জাতিগতভাবে বিচারপতি রাধা বিনোদ পালকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় সম্মান জানায়, এবং তার অবদানকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণ করে। রাধা বিনোদ পালকে জাপানে জাতীয় বীরদের পর্যায়ের সম্মাননা দেওয়া হয়। তার নাম জাপানের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছে এবং তাকে “বাঙালির চিরকালের নিঃস্বার্থ বন্ধু” বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিয়োটো শহরে তার ভাস্কর্য নির্মিত হয়েছে। টোকিওতে তার নামে সুপ্রশস্ত রাজপথ রয়েছে। এছাড়া জাপানের ইয়াসুকুনি স্মৃতিসৌধে তার স্মরণে একটি বিশেষ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে সাধারণত কেবলমাত্র যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়। ১৯৬৬ সালে জাপানের সম্রাট হিরোহিতো তাকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ফার্স্ট অর্ডার অব সেক্রেড ট্রেজার’ (কোক্কা কুনশোও) প্রদান করেন। জাপানের স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে রাধা বিনোদ পালের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে নতুন প্রজন্ম তার অবদান সম্পর্কে জানতে পারে। জাপানিদের কাছে রাধা বিনোদ পাল কেবল একজন বিচারক নন, বরং ন্যায়, নিরপেক্ষতা ও মানবতার প্রতীক। তার জন্য জাপান আজও বাংলাদেশের ও বাঙালির প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা ও বন্ধুত্বের মনোভাব পোষণ করে।


রাধা বিনোদ পালের বাড়ি:

তিনি দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের শালিমপুরে তার জন্মস্থান সেখানে একটি পুকুর আর বাড়ির ফটক ছাড়া কিছুই নেই। তবে সেগুলো স্থানীয় হযরত আলী নামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের দখলে রয়েছে। তিনি পারিবারিক অর্থসংকটের কারণে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের কাকিলাদহ গ্রামে জায়গির থেকে লেখাপড়া করেছেন এবং সেখানেই ১৯০৭ সালে নলিনী বালা পাল বিবাহ করেন। সেই সুবাদে তিনি কাকিলাদহতেই বসবাস শুরু করেন। তবে এখানেও তার সম্পত্তি দখলদারদের হতে চলে গেছে। তাঁরই জমিতে কাকিলাদহ কে এম আইডিয়াল কলেজ প্রতিষ্ঠা হলেও ছাত্র-ছাত্রী অভাবে সেটা আর দাঁড়াতে পারেনি। চেয়ারটেবিল জানালাদরজা কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। 


রাধা বিনোদ পালের স্মৃতি রক্ষায় কুষ্টিয়ায় ভাস্কর্য, স্মৃতিস্তম্ভ, জাদুঘর, গবেষণা কেন্দ্র, স্কলারশিপ, বার্ষিক স্মরণানুষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার প্রতিষ্ঠার মতো উদ্যোগ নেওয়া উচিত। এতে কুষ্টিয়ার গর্ব ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা যেমন বাড়বে, তেমনি বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বও আরও দৃঢ় হবে।

জাপান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী দেশ, এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জাইকা ও জাপান সরকার অনুদান, সহজশর্তে ঋণ এবং কারিগরি সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে।


বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের কুষ্টিয়ায় জন্ম এবং তার ঐতিহাসিক অবদানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বের দীর্ঘ ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারে। এতে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক আস্থা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা আরও গভীর হবে। বিচারপতি রাধা বিনোদ পালের প্রতি জাপানের জাতিগত কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য কূটনৈতিক পুঁজি। এই আবেগ ও বন্ধুত্বকে কৌশলগতভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় আরও বেশি সুবিধা আদায় করতে পারে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিস্ট

২২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
মতামত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন