দৌলতপুর বিএনপি নেতা আবিদ হাসান মন্টি সরকার
রাজনৈতিক ট্যাডিশন যে যত বড় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ, দুর্নীতিবাজ সে তত বড় নেতা

সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ১১:০৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দৌলতপুর থানার বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক আবিদ হাসান মন্টি সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টে বলেছেন, “দৌলতপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ মূলত বড় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জন্য পরিচিত। যত বড় এই ধরনের অপরাধী, তত বড় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।”
তিনি শনিবার (২৪ মে) রাতে “দৌলতপুরের রাজনীতির মূলনীতি” শিরোনামে এই পোস্টে উল্লেখ করেন, “দৌলতপুরের ভূখণ্ডটি রাজনৈতিক মাফিয়াদের জন্য এক প্রকার অরণ্য। ভারতের সীমানা বা সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে অবৈধ অস্ত্র ও মাদক বসবাস করে। ভারতের পাশাপাশি বেশ কিছু জেলার নো ম্যানসল্যান্ড বা সীমান্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। চরাঞ্চলের কারণে এই অঞ্চলে সন্ত্রাস ও অপরাধের আধিপত্য রয়েছে। এখানকার রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল ভিত্তি হলো অবৈধ অস্ত্র, খুনোখুনির ঘটনা ও মাদক ব্যবসার কালো টাকা।”
তিনি আরও বলেন, “দৌলতপুরের রাজনীতির মূল চরিত্র হলো বড় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজরা, যারা নিজেদের বড় নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই অঞ্চলে নীতি ও আদর্শের কোনো মূল্য নেই। ক্ষমতার অপব্যবহার এখানে স্বাভাবিক বিষয়। বিরোধীদের দমনই এখানকার একমাত্র নীতি।”
আবিদ হাসান মন্টি সরকার উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপি—তিনটি দলই এই অঞ্চলে একই ধরনের কালচার অনুসরণ করে। মাঝে মাঝে এই রাজনীতি ব্যক্তির পেশি শক্তির কাছে হার মানে। অবৈধ আয়ের উৎস ও অস্ত্রধারী ক্যাডার ছাড়া রঙিন প্রতীক বা মনোনয়ন পেলে ভোটে জেতা কঠিন হয়। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, খুন, মারামারি এভাবেই এই এলাকার নেতাদের পরিচিত করে তোলে। এখানে পেশি শক্তি ও কালো টাকার মাধ্যমে নেতা হিসেবে আসীন হওয়া মূল মানদণ্ড, অন্য কিছু প্রয়োজন হয় না। পরিবর্তনের প্রয়োজন, অবশ্যই পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। তবে এ অঞ্চলের কিছু জনপ্রিয় নেতা এখনও রয়েছেন, যাদের নাম আজও দৌলতপুরের মানুষের মুখে মুখে। দল-মত নির্বিশেষে কিছু নেতার স্মৃতি আজও মানুষের হৃদয়ে অম্লান।”
১৩৫ বার পড়া হয়েছে