সর্বশেষ

জাতীয়

সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না: জামায়াত আমির

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫ ৪:২৯ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে জনগণের আশা পূরণ হবে না। শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের যমুনার সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জামায়াত আমির উল্লেখ করেন, আমরা দুইটি বিষয় স্পষ্ট করতে চেয়েছি। প্রথমত, নির্বাচন কখন হবে তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আপনি যে সময়সীমা দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে জনগণের কোনো বড় ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই একটি শান্তিপূর্ণ এবং সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, এই নির্বাচনের পূর্বে অবশ্যই কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং বিচারপ্রক্রিয়া দৃশ্যমানভাবে জনগণের সামনে আসা উচিত।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, সংস্কার সম্পন্ন না করে যদি কোনো নির্বাচন হয়, তবে জনগণ তার প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য যে, বর্তমানে সব সংস্কার এক সঙ্গে করা সম্ভব নয়। সংসদে মাত্র পাঁচটি নির্দিষ্ট বিষয়ে তারা কাজের হাতে নিয়েছেন, যেগুলো সন্তোষজনকভাবে সমাপ্তি করতে হবে।

বৈঠকে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ।

অপরদিকে, সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণের জন্য বিএনপি প্রথম থেকেই একটি সুস্পষ্ট জাতীয় নির্বাচনি রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। এই রোডম্যাপের মূল লক্ষ্য হলো সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন। এজন্য সরকারের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ও বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়েছি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিবার, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এজন্য আওয়ামী লীগের বিচারের দাবি তাদের ওপর সবচেয়ে বেশি। এই বিচার প্রক্রিয়া যদি অসম্পন্ন থেকে যায়, তাহলে বিএনপি সরকারের দায়িত্বে গেলে, বিচারের আওতায় এনে তা স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে।

বৈঠকে এও বলা হয়, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্কার দ্রুত সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে একটি কার্যকর রোডম্যাপ প্রণয়ন করা জরুরি। বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব হলো একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের উত্তরণ ত্বরান্বিত করা। যেকোনো কারণে নির্বাচন বিলম্ব হলে, তা জাতির জন্য স্বৈরাচার ফেরার পথ প্রশস্ত করবে—এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করা হয়। এই দায়-দায়িত্ব বর্তমান সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকেই নিতে হবে।

১০৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন