সরকারি চাকরি আইনে বিশেষ বিধান যুক্তের উদ্যোগ, উদ্বেগে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

বৃহস্পতিবার , ২২ মে, ২০২৫ ৩:৪১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-তে সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ-১৯৭৯ যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সংশোধিত আইনটি কার্যকর হলে তদন্ত ছাড়াই সরকারি চাকরিজীবীদের বরখাস্ত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। একইসঙ্গে ২০ দিনের মধ্যে তিন ধরনের শাস্তি — চাকরিচ্যুতি, অবনমন ও বেতন বন্ধ — দেওয়া সম্ভব হবে। এই শাস্তির বিরুদ্ধে কোনো সরকারি কর্মচারী আদালতের শরণাপন্নও হতে পারবেন না।
এই আইনি উদ্যোগ নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রস্তাব উপস্থাপন করবে।
এদিকে সংশোধনের প্রস্তাব ঘিরে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের দুইটি অংশ এবং আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল বুধবার তারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, "সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের মাধ্যমে ১৯৭৯ সালের বিশেষ অধ্যাদেশ যুক্ত করার উদ্যোগ সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তাহীনতায় ফেলবে।"
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া এ বিষয়ে সমকালকে বলেন, “এই ধরনের আইন দক্ষ প্রশাসনের প্রতিফলন নয়। বরং এটি হয়রানি ও ভয়ভীতির উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এমন আইন প্রয়োগের নজির অতীতে বহুবার দেখা গেছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের আইন বাস্তবায়িত হলে কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে যাবেন, যা প্রশাসনিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
১১৪ বার পড়া হয়েছে