ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মাওবাদী শীর্ষনেতাসহ ২৭ জন নিহত

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ২:১৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র বামপন্থী সংগঠন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদী)-এর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশভা রাও ওরফে বাসভরাজকে নিহত করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
অভিযানে আরও ২৭ জন নকশাল সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বুধবার (২১ মে) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর "সাহসিকতা ও নিষ্ঠার" প্রশংসা করেন এবং বলেন, “তিন দশকের মধ্যে এই প্রথম সিপিআই (মাওবাদী)-এর শীর্ষ নেতৃত্বের একজনকে আমরা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। এটি ভারতের নিরাপত্তা ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক।”
অভিযানটি পরিচালিত হয় ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলার ঘন জঙ্গলঘেরা অবুজমাড় এলাকায়। সেখানেই নিহত হন বাসভরাজ, যিনি তেলেঙ্গানা রাজ্যের বাসিন্দা ছিলেন। ২০১৮ সালে মাওবাদী সংগঠনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাওয়ের কাছ থেকে দলের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন বাসভরাজ। দীর্ঘদিন তিনি মাওবাদী সামরিক শাখার নেতৃত্বে ছিলেন এবং একাধিক হামলায় জড়িত ছিলেন, যেখানে বহু নিরাপত্তা কর্মী নিহত হন।
নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, এই অভিযানের মধ্য দিয়ে ছত্তিশগড়সহ মধ্য ভারতীয় অঞ্চলে মাওবাদী সংগঠনের উপস্থিতি কার্যত শেষের পথে। ইতোমধ্যে অভিযানে ৫৪ জন নকশাল সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং ৮৪ জন আত্মসমর্পণ করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আরও জানান, “২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই দেশে মাওবাদী সন্ত্রাস সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা হবে” — পূর্ববর্তী ঘোষণা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এই অভিযান তারই অংশ।”
এর আগে চলতি বছরের ২১ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত ‘অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্ট’ চালানো হয়। ২১ দিনব্যাপী এই অভিযানে ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা ও মহারাষ্ট্রের যৌথ বাহিনী অংশ নেয়। এতে মাওবাদীদের সামরিক অবকাঠামোর বড় অংশ ধ্বংস হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাসভরাজের মৃত্যুর মাধ্যমে মাওবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল ছত্তিশগড় এখন প্রায় মাওবাদীমুক্ত। গ্রামীণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে যে দখলদারি বজায় ছিল, তা এখন বিলুপ্তির পথে।
১২৮ বার পড়া হয়েছে