ধামরাইতে ধর্ষণের অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ১:৩১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকার ধামরাইয়ে ৪র্থ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে এক নারী সহযোগীসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছেন ধামরাই থানা পুলিশ।
আজ বুধবার (২১মে) সকালে গ্রেফতারকৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ।
ধামরাই থানার ওসি (মনিরুল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার মুংলাকুটি গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের পুত্র আরিফুজ্জামান, রংপুর জেলার গংগাচড়া থানার খাটারি খা বাড়ী গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের পুত্র মোঃ আয়নাল হক,
মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার দরগ্রামের মোজাম্মেল হকের পুত্র মোঃ রবিউল আওয়াল এবং ঢাকা জেলার ধামরাই থানার সোমভাগ ইউনিয়নের গাওয়াইল গ্রামের শফিকুল ইসলামের কন্যা সোহানা আক্তার।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গাওয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন ওই স্কুলছাত্রী। এরপর থেকে তিনি বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি না পাওয়ায় ১৭ মে ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন।
জিডির সূত্রে জানা যায়, পুলিশ প্রযুক্তির ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকার বটতলা থেকে ওই স্কুলছাত্রীকে ২০ মে রাতে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা জানায়, ১৫ মে বাড়ির পাশে শফিকুলের মেয়ে সোহানা বেড়ানোর কথা বলে অপহরণ করে। পরে তাকে আরিফুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে ঐ ব্যক্তি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এরপর সেই আরিফুজ্জামান তার বন্ধু আয়নাল হকের কাছে মেয়েকে বুঝিয়ে দেয়। আয়নাল হক তাকে রবিউল আওয়াল নামে এক ব্যক্তির ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে রবিউল ঐ স্কুলছাত্রীকে এক রুমে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে সেই বাসায় মেয়েকে আটকে রাখে। এরপর আবারও সুযোগ বুঝে আরিফুজ্জামান ওই বাসায় গিয়ে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গাওয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তদন্ত চালিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় সম্পৃক্ত চারজনকে চিহ্নিত করে আটক করা হয়।
গ্রেফতারের পর আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি মনিরুল ইসলাম।
১৫১ বার পড়া হয়েছে