অর্থনীতির পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ভবিষ্যত সরকার ধরে রাখবে-এটাই প্রত্যাশা : গভর্নর

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ১:০৩ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতির পূর্ণ পুনরুদ্ধার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতের নির্বাচিত সরকার এই পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশে আর্থিক খাতের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টার (আইজিসি)।
গভর্নর বলেন, “আমরা হয়তো একটি আংশিকভাবে পুনর্গঠিত অর্থনীতি ভবিষ্যতের সরকারের কাছে হস্তান্তর করব। কিন্তু তারা যেন এই প্রক্রিয়া ধরে রাখে, সেটাই প্রত্যাশিত।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া অর্থনৈতিক বিকেন্দ্রীকরণ সম্ভব নয়, যা রাজনৈতিক দলগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. আশিকুর রহমান। এতে উঠে আসে, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ২০২৪ সালের হিসেবে মোট আমানতের ৪২ শতাংশ আছে মাত্র শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হিসাবধারীর কাছে। প্রতিটি এমন হিসাবে জমা আছে এক কোটিরও বেশি অর্থ। অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান বলেন, “এটি স্পষ্টভাবে সম্পদের পুঞ্জীকরণের প্রমাণ দেয়।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, “এক সময় রিজার্ভ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা কমে ২০ বিলিয়নে নেমেছিল। বর্তমানে তা ২৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে এবং শিগগিরই ৩০ বিলিয়নে উন্নীত হবে বলে আমরা আশাবাদী।”
তিনি জানান, প্রবাসী আয়, রপ্তানি ও বৈদেশিক অর্থায়নের ওপর নির্ভর করে রিজার্ভ পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নগদবিহীন লেনদেন প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “আমরা একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ক্যাশলেস অর্থনীতির দিকে যাচ্ছি। বর্তমানে ২০ হাজার এজেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা দ্রুত ২৬ হাজারে উন্নীত হবে। এতে ক্ষুদ্রঋণ খাতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পিআরআইয়ের চেয়ারম্যান জাইদি সাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আনিস উর রহমান, পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক খুরশিদ আলম এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
১৩৭ বার পড়া হয়েছে