স্টারলিংকের যাত্রা শুরু: নির্ধারণ করা হয়েছে ট্যাক্স ও রেগুলেটরি শর্ত

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ৩:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
স্যাটেলাইট-ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তাইয়েব।
ফয়েজ তাইয়েব বলেন, "স্টারলিংকের প্রতিটি সংযোগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি মাসে এক ডলার করে ফি দিতে হবে, যা ভ্যাট ও ট্যাক্স কমপ্লায়েন্সের আওতায় আসবে।" এছাড়া প্রতিটি কানেক্টেড ডিভাইসের জন্য সরকারের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) নিতে হবে, যাতে ভ্যাট ও ট্যাক্স পরিশোধ নিশ্চিত হয়।
তিনি আরও জানান, যেহেতু স্টারলিংকের কার্যক্রম পুরোপুরি ডিজিটাল ডিভাইস ও স্যাটেলাইট প্রযুক্তিনির্ভর, তাই এখানে কর বা ভ্যাট ফাঁকির কোনো সুযোগ থাকবে না।
ব্যবসায়িক লাইসেন্স ও প্যাকেজ পরিকল্পনা
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য স্টারলিংক দুইটি ক্যাটাগরিতে এককালীন ৩০ হাজার ডলার ফি জমা দিয়েছে। এর মধ্যে আইইউটি ক্যাটাগরিতে ১০ হাজার ডলার এবং গভর্নমেন্ট ইন্টারনেট ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার ডলার প্রদান করা হয়েছে। সমপরিমাণ অর্থ প্রতি বছর নবায়ন ফি হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে স্টারলিংক দুটি ইন্টারনেট প্যাকেজ নিয়ে বাজারে এসেছে — ‘রেসিডেন্স’ ও ‘রেসিডেন্স লাইট’। ‘রেসিডেন্স’ প্যাকেজের মাসিক ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬,০০০ টাকা, আর ‘রেসিডেন্স লাইট’-এর জন্য ৪,২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজের জন্য এককালীন সেটআপ খরচ ধরা হয়েছে ৪৭,০০০ টাকা।
সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়
এটি একটি স্যাটেলাইট নির্ভর ইন্টারনেট সেবা হওয়ায় কোনো ধরনের স্থানীয় ট্রান্সমিশন বা অ্যাক্সেস নেটওয়ার্কের প্রয়োজন পড়ে না। এই প্রযুক্তি ব্যবহারে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট রেগুলেটরি সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও জানান ফয়েজ তাইয়েব।
১১৮ বার পড়া হয়েছে