প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি শুরু, ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা

বুধবার, ২১ মে, ২০২৫ ৩:১৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আজ বুধবার (২১ মে) থেকে অর্ধদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। আগামী ২৫ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
তবে দাবিগুলো আদায় না হলে ২৬ মে থেকে তারা পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন।
এর আগে ৫ মে থেকে এক ঘণ্টার কর্মবিরতির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা, যা চলে ১৫ মে পর্যন্ত। এরপর ১৬ মে থেকে প্রতিদিন দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে।
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন কমিটির প্রস্তাবিত বেতন গ্রেড বাতিলের দাবিতে এই আন্দোলন শুরু হয়। শিক্ষকদের দাবি, কনসালটেশন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করা হলে তা হবে অত্যন্ত বৈষম্যমূলক ও অগ্রহণযোগ্য।
সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, “সারা দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঘোষিত কর্মসূচি চলবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই সহকারী শিক্ষক পদে ন্যূনতম ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেডের নিশ্চয়তা এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির সুযোগ।”
রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খায়রুন নাহার লিপি জানান, “আমরা ১২তম গ্রেড এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের প্রস্তাব দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। এসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির পথে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে।”
সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা প্রধান দাবি হলো:
১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ: সহকারী শিক্ষক পদকে অ্যান্ট্রি পদ হিসেবে ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন দিতে হবে।
উচ্চতর গ্রেডে জটিলতা নিরসন: ১০ এবং ১৬ বছর চাকরির পর উচ্চতর গ্রেড পেতে যেসব জটিলতা রয়েছে, তা দূর করতে হবে।
শতভাগ পদোন্নতির নিশ্চয়তা: প্রধান শিক্ষক পদের জন্য শতভাগ পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ আন্দোলনের ফলে দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে, অন্যথায় দীর্ঘমেয়াদি কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে