সর্বশেষ

সারাদেশ

ঈশ্বরদীতে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় বিভাগীয় কমিশনারের 

এম এস রহমান, পাবনা
এম এস রহমান, পাবনা

রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫ ৯:২৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের পতিরাজপুর গ্রামে শনিবার দিনব্যাপী কৃষক সমাবেশ ও অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করে বাংলাদেশ কৃষক সমিতি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খোন্দকার আজিম আহমেদ এনডিসি। তিনি কৃষকদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া শোনেন ও তাদের সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময় করেন।

সকাল থেকে শুরু হওয়া এ আয়োজনে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষি খামার চত্বরে তৈরি নান্দনিক প্রবেশপথ এবং স্থানীয় কৃষকের উৎপাদিত একটি বিশাল আকৃতির মিষ্টি কুমড়া দিয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে বরণ করে নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, পাবনার পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. মনোয়ারুল হক এবং পজেটিভ ফাউন্ডেশনের সাবেক সভাপতি ডা. হোসাইন মো. আল-আমিন।

বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “এই অঞ্চলের কৃষকদের দীর্ঘদিনের দাবি হচ্ছে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, কৃষিবান্ধব বাজেট এবং রেল ও বিআরটিসি মাধ্যমে কৃষিপণ্য পরিবহনের ব্যবস্থা।”

কৃষকদের পক্ষে লিখিত দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের সদস্য শাহজাহান আলী বাদশা। তিনি ২৬ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেন: কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা, নতুন ডিলার নিয়োগ, লিচু গবেষণাগার স্থাপন, এবং ঈশ্বরদী বিমানবন্দর চালুর প্রয়োজনীয়তা।

বিভাগীয় কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, “ঈশ্বরদী কৃষিতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি অঞ্চল। এখানে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন জরুরি। আমরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে প্রস্তাবনা জানাবো। এছাড়া কৃষকদের জন্য স্বল্প সুদে কৃষিঋণ এবং কৃষি উন্নয়নে সহায়ক পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করতে আমরা সচেষ্ট থাকব।”

মতবিনিময় সভার পাশাপাশি আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পে রাজশাহী ও ঢাকা থেকে আগত চিকিৎসকরা প্রান্তিক কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেন। শিশু, চক্ষু, গাইনী, অর্থপেডিক্স, দন্ত ও মেডিসিন বিভাগে রোগীদের সেবা প্রদান করা হয়। অনেক রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধও সরবরাহ করা হয়।

বাংলাদেশ কৃষক সমিতি, জার্মান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পাবলিক হেলথ বিভাগ এবং পজিটিভ প্লাস ফাউন্ডেশনের যৌথ সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার কৃষক ও সেবাগ্রহীতা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানস্থলটি সাজানো হয় চলতি মৌসুমে উৎপাদিত প্রায় ৩০ প্রকারের সবজি ও ফল দিয়ে, যা কৃষি ঐতিহ্যের সৌন্দর্যকে আরও ফুটিয়ে তোলে।

১৩০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন