জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস, আন্দোলন আংশিক স্থগিত

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫ ৫:৫৬ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
আবাসন সংকট, বাজেট বৃদ্ধিসহ তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছে এসে এ ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ।
ইউজিসি চেয়ারম্যান জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি, অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাঁর সঙ্গে থাকা ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, জবি উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীনও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
এ সময় উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, “আবাসন সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধানে অস্থায়ী হল নির্মাণ এবং দীর্ঘমেয়াদে নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়গুলো অগ্রাধিকার পাবে।”
চলমান গণ–অনশনের অংশ হিসেবে একজন অনশনরত শিক্ষার্থীকে নিজ হাতে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান ইউজিসি চেয়ারম্যান। এরপর কিছু শিক্ষার্থী অনশন ভাঙলেও অনেকেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁদের দাবি, সরকারের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণার আগ পর্যন্ত তাঁরা অনশন থেকে সরবেন না।
এর আগে শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি, গণ–অনশন এবং যমুনা ভবন অভিমুখে লংমার্চসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। বুধবারের লংমার্চে পুলিশের বাধা এবং টিয়ারশেল ও জলকামান ব্যবহারের ঘটনায় অন্তত ৫০ জন শিক্ষক–শিক্ষার্থী আহত হন।
শুক্রবার বিকেলে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ ও গণ-অনশন কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাবেক শিক্ষার্থীরা একত্রিত হন। পরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দীন সরকারের আশ্বাসের ভিত্তিতে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ এখনো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অনড়।
আন্দোলনকারীরা বলছেন, “দাবি পূরণে সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত এবং সময়সীমাসহ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
১১৭ বার পড়া হয়েছে