কার্যালয় ও কোরআন আগুনে পোড়ানোর অভিযোগে জামায়াতের বিক্ষোভ

শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫ ২:৫১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাবনার আটঘরিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে উপজেলার দেবোত্তর বাজার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সকাল ১০টার দিকে দেবোত্তর বাজারে জামায়াতের উপজেলা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জড়ো হন। এ সময় জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল সাংবাদিকদের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনাস্থল ঘুরিয়ে দেখান এবং পুড়ে যাওয়া কোরআন শরীফ ও অন্যান্য ধর্মীয় বইপত্র প্রদর্শন করেন। পরে তারা পাবনা-আটঘরিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল, সহকারী সেক্রেটারি এস এম সোহেল, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা নকিবুল্লাহসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য নেতারা।
অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, “উপজেলা বিএনপির চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে ইসরায়েলি কায়দায় আমাদের কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে। শুধু তাই নয়, তারা পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বই পুড়িয়ে চরম ধর্মীয় অবমাননা করেছে।” তিনি দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার এবং থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ঘটনার পটভূমিতে জানা যায়, দেবোত্তর ডিগ্রি কলেজের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তুলতে গেলে জামায়াত নেতাদের বাধা ও মারধরের মুখে পড়তে হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে। এরপর পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও সংঘর্ষে রূপ নেয় দুই পক্ষের মধ্যে। এক পর্যায়ে জামায়াতের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতা আলমের অফিস ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পাল্টা হামলায় জামায়াতের কার্যালয়ে আগুন দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা—এমন অভিযোগ করেছে জামায়াত।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, “উভয় পক্ষই একে অপরের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে। কিছু সংঘর্ষও হয়েছে, বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
১২১ বার পড়া হয়েছে