সর্বশেষ

জাতীয়

মুজিবনগর সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ ৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ী মুজিবনগর সরকারের চার শতাধিক নেতার মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এই লক্ষ্যে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইনের সংশোধিত খসড়ায় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ সংজ্ঞা পুনর্গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সংশোধিত খসড়াটি অধ্যাদেশ আকারে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে জামুকার ৯৪তম সভায় আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর ১০ মার্চ সংশ্লিষ্ট কার্যপত্রে অনুমোদন দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম। ৬ মে খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হলে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ সংজ্ঞা নিয়ে আপত্তি উঠে। পরে তা সংশোধনের নির্দেশ দেওয়া হয়।

নতুন সংজ্ঞায় পাঁচ শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা

সংশোধিত খসড়ায় মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের পাশাপাশি আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই শ্রেণিগুলো হলো:

বিদেশে অবস্থানরত পেশাজীবী ও সংগঠক, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, দূত ও অন্যান্য সহকারী কর্মী।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছেন।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী জানান, “প্রবাসী সরকার তথা মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত থাকবেন। সংশোধিত খসড়াটি বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদে উপস্থাপন করা হচ্ছে।”

বীর মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা

সংশোধিত আইনে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ বলতে বোঝানো হয়েছে, ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত সময়কালে যারা দেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছেন, প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

‘মুক্তিযুদ্ধ’-এর সংজ্ঞাতেও পরিবর্তন

খসড়ায় ‘মুক্তিযুদ্ধ’-কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম হিসেবে। যুদ্ধটি ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পর্যন্ত সময়ে পাকিস্তানি বাহিনী এবং তাদের দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বর্তমানে সরকারী তালিকায় ৩৬টি শ্রেণির বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। খসড়াটি অধ্যাদেশ আকারে কার্যকর হলে, এসব শ্রেণির মধ্যে কিছু শ্রেণির পরিচয়ে পরিবর্তন আসবে এবং কিছু ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন