পুঠিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, অফিস ও মোটরসাইকেলে আগুন

বৃহস্পতিবার , ১৫ মে, ২০২৫ ৩:৩৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে অন্তত ৮ থেকে ১০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় বিএনপির একটি স্থানীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় অন্তত তিনটি মোটরসাইকেল।
বুধবার বিকেলে পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে স্থানীয় একটি পুকুর ও দিঘির টেন্ডার নিয়ে বিরোধের জেরে উত্তেজনার সূচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রাতে পুঠিয়া বাজার এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপির দুই পক্ষ।
পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন পুঠিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আল মামুন খান এবং অন্য পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন ফারুক রায়হান, যিনি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মন্ডলের অনুসারী।
বিকেলের পর দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিতে থাকে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
সংঘর্ষ থামাতে প্রথমে পুলিশ চেষ্টা চালায়, তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। শেষ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন জানান, “বিএনপি নেতা আল মামুন খান এবং নজরুল ইসলাম মন্ডলের অনুসারীরা এই ঘটনায় জড়িত। মামুনের লোকজন ফারুক রায়হানের অফিসে আগুন দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
আহতদের পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পর এলাকা জুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
১১৫ বার পড়া হয়েছে