চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বমানের করাই অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাবিকাঠি: ড. ইউনূস

বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫ ৭:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড, এ বন্দরকে বাদ দিয়ে জাতীয় অর্থনীতির অগ্রগতি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিক ও শক্তিশালী করে তোলা ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।”
বুধবার (১৪ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বন্দর এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি তিনি বন্দর ও জাহাজ চলাচল সংক্রান্ত বিভিন্ন খাতের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এছাড়া বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠন ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করেন তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। কিন্তু এই হৃদপিণ্ডটি এখনো দুর্বল ও রোগাক্রান্ত। এর পরিবর্তন অত্যন্ত শ্লথ। আমি বহু বছর ধরে এ বিষয়ে কথা বলে আসছি, লিখেছিও। এবার সরাসরি এসে অগ্রগতির অবস্থা বুঝতে চেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “যদি অর্থনীতি বদলাতে চাই, তাহলে চট্টগ্রাম বন্দরই সেই নির্ভরতার জায়গা। এই বন্দর বাদ দিয়ে উন্নয়নের কোনো পথ খোলা যাবে না। বিশ্বের সেরা বন্দরগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে আমাদের। এই বন্দর শুধু আমাদের নয়, প্রতিবেশী দেশ নেপালকেও সেবা দিতে পারে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের দেশের মতো একটি জায়গায় এক বা দুইটি টার্মিনাল নিয়ে বন্দর পরিচালনা যথেষ্ট নয়। অনেক উন্নত দেশের ২০-৩০টি টার্মিনাল রয়েছে। আমাদের দুর্বল ‘হৃদপিণ্ড’ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে বেশিদিন টিকিয়ে রাখা যাবে না। কাজেই এটিকে শক্তিশালী করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
সকালেই চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. ইউনূস। তাকে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সেখান থেকে তিনি সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে যান।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম নিজ জেলা চট্টগ্রাম সফরে এলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এরই মধ্যে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর বহুল প্রত্যাশিত রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বেলা ১১টায় চট্টগ্রামের সার্কিট হাউস থেকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের ফলক উন্মোচন করেন তিনি।
১০৩ বার পড়া হয়েছে