ফসলি জমির মাটি কাটার দায়ে ১৪ জন আটক, ৩ মাসের কারাদণ্ড

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫ ১১:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরঘোষপুর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করায় ১৪ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরে তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযানে ৮টি ট্রাক এবং ৪টি স্কেভেটর মেশিন জব্দ করা হয়েছে।
রোববার (১১ মে) রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলা অভিযানে স্থানীয় দুষ্কৃতিকারীদের অবৈধ মাটি কাটার কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।
অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, এনএসআই সহকারী পরিচালক এবং আনসার সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে, পাবনা সদর উপজেলার কৃষ্টপুর গ্রামের জুয়েল হোসেন (৪০), হৃদয় হোসেন (২৮), চর বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের মারুফ হোসেন (৪০), বাধেরহাট এলাকার বাবু মন্ডল (৪০), লাইব্রেরী বাজার এলাকার বাপ্পি হোসেন (৩২), চরঘোষপুর গ্রামের হযরত আলী (২৯), বাংলাবাজার এলাকার মক্কার প্রামানিক (৬২), রবিউল ইসলাম (৪৩), সাইফুল ইসলাম (৩৫), গাছপাড়া গ্রামের জমির হোসেন (৩৫), চক ছাতিয়ানি এলাকার সাহাবুল ইসলাম (৪২), চাটমোহরের নাহিদ পারভেজ (৩৫), পাবনা শহরের আটুয়া এলাকার সাব্বির হোসেন (২৮) এবং কাচারীপাড়া এলাকার পান্না মন্ডল (৩২)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ৫ মাস ধরে এই অঞ্চলে অবৈধভাবে মাটি ও বালু কাটার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালালেও তেমন কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল না। স্থানীয়রা জানান, আটককৃতরা কয়েকদিন পরই জেল থেকে মুক্ত হয়ে আবারও একই কাজ শুরু করে দেয়। তবে, পাবনা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন জানিয়েছেন, অবৈধ মাটি ও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং পরিবেশ নষ্টকারী এসব কার্যক্রম শিগগিরই পুরোপুরি বন্ধ করা হবে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে