শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যা: ভাগ্নে গ্রেফতার

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫ ১০:১৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজে চিহ্নিত তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি নিহতদের ছোট বোনের ছেলে গোলাম রব্বানী ওরফে তাজ (১৮)।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানায়, গতকাল রোববার রাতে ঝালকাঠির সদর উপজেলার আছিয়ার গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে রব্বানীকে গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, আজ বিকেল ৪টায় মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, গত শুক্রবার (৯ মে) বিকেলে পশ্চিম শেওড়াপাড়ার একটি বাসায় মরিয়ম বেগম (৬০) ও তাঁর বোন সুফিয়া বেগমকে (৫২) ছুরিকাঘাত ও শিলনোড়ার আঘাতে হত্যা করা হয়। তারা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা মরিয়ম বেগমের ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা তিনটার দিকে নীল প্যান্ট ও গাঢ় নীল শার্ট পরা, মুখে মাস্ক ও মাথায় কমলা ক্যাপ পরা এক যুবক দোতলায় ওঠেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কাপড় পাল্টে একই ব্যক্তি বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, রব্বানী ঘটনার দিন টাকার জন্য খালাদের বাসায় যান। টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি দুই খালাকে হত্যা করেন এবং পরে আত্মগোপনে চলে যান। তাঁর বিরুদ্ধে আগেও উগ্র আচরণ এবং স্কুল থেকে বহিষ্কারের অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার মরিয়ম বেগমের স্বামী ও বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা কাজী আলাউদ্দিন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মরিয়ম বেগমের মেয়ে ইসরাত জাহান আজ সকালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় এসে বলেন, “আমার মা ছোটবেলা থেকেই রব্বানীকে খুব আদর করতেন। অথচ সে-ই আজ মাকে আর খালাকে চিরদিনের জন্য কেড়ে নিল। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”
ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুটি বর্তমানে হিমঘরে রাখা হয়েছে। পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মরিয়ম ও সুফিয়াকে বরিশালের গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হবে।
১১৬ বার পড়া হয়েছে