টেলর সুইফটের বিরুদ্ধে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা

সোমবার, ১২ মে, ২০২৫ ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
২০২৪ সালে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক ড্রামা ফিল্ম ‘ইট এন্ডস উইথ আস’, যা নির্মিত হয় ২০২৩ সালে।
২০২৪ সালে মুক্তি পায় রোম্যান্টিক ড্রামা ফিল্ম ‘ইট এন্ডস উইথ আস’, যা নির্মিত হয় ২০২৩ সালে। জাস্টিন বাল্ডোনি পরিচালিত এই সিনেমার মূল কাস্টে থাকেন ‘গসিপ গার্ল’খ্যাত অভিনেত্রী ব্লেইক লাইভলি, যার সঙ্গে অভিনয়ের জন্য বাল্ডোনি নিজেও ছিলেন। মাত্র ২৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত এই সিনেমা ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করে, আয় করে সাড়ে তিনশ মিলিয়নের বেশি ডলার।
তবে, সিনেমার মুক্তির প্রায় চার মাস পর শুরু হয় বিষয়টির বিতর্ক। ডিসেম্বরে, ক্যালিফোর্নিয়ার সিভিল রাইটস ডিপার্টমেন্টে ব্লেইক লাইভলির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ দায়ের হয়। এর এক মাসের মধ্যে, জানুয়ারিতে, লাইভলি ও তার স্বামী রেনল্ডসের বিরুদ্ধে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মানহানির মামলা করেন নির্মাতা জাস্টিন বাল্ডোনি। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয় আরও একটি নতুন নাম— টেলর সুইফ্ট।
অভিযোগ করা হয়, সুইফ্ট ওই সিনেমার চরিত্র পরিবর্তন করতে বাল্ডোনিকে উসকানি দিয়েছিলেন। এর ফলে, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। সুইফ্টের প্রতিনিধিরা বিবিসিকে জানায়, তিনি কখনোই কাস্টিং বা সৃজনশীল সিদ্ধান্তে জড়িত ছিলেন না। তবে, বাল্ডোনির ভাষ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে স্ক্রিপ্ট পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা চলাকালে তিনি লাইভলি, রেনল্ডস ও সুইফ্টকে উপস্থিত থাকতে দেখেছেন, যা নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
অভিযোগের মধ্যে আরও রয়েছে, সুইফ্টের নাম ইসাবেলা ফেরারের সঙ্গে জড়ানো হয়েছে, যিনি সিনেমার তরুণ চরিত্র লিলি ব্লুম-এ অভিনয় করেছেন। তবে, সুইফ্টের পক্ষের দাবি, তার একমাত্র সম্পৃক্ততা ছিল ‘মাই টিয়ার্স রিকোচেট’ গানের অনুমতি দেওয়া, যা আরও ১৯ জন শিল্পীর জন্য ছিল।
ব্লেইক লাইভলি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সিনেমার শুটিং চলাকালে তার চরিত্র নিয়ে নানা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, “আমার মনে হয়েছে, এই ধরনের অভিযোগের পেছনে অনেক কিছুই থাকতে পারে, কিন্তু আমি সবসময়ই নিজের এবং সিনেমার জন্য কাজ করেছি।”
আগামী মার্চে এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও, এর মধ্যেই এই বিষয়গুলো জনমনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। আইনি প্রক্রিয়া চলাকালে বিভিন্ন পক্ষের তরফ থেকে নানা ধরনের মন্তব্য ও প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই পুরো বিষয়টি সিনেমার নির্মাণ, প্রচার ও তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবন কেমনভাবে প্রভাবিত করছে, তা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে