সর্বশেষ

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে উল্লাস আন্দোলনকারীদের 

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শনিবার, ১০ মে, ২০২৫ ৭:২৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও এর নেতাদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে উল্লাস প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সরকারের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম, সাইবার স্পেসসহ, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আইন উপদেষ্টা আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধনী অনুমোদন হয়েছে, যা অনুসারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রাজনৈতিক দল কিংবা তার সমর্থকগোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর, রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে রাজসিক মোড়ে অবস্থানরত আন্দোলনকারীরা উল্লাস প্রকাশ করেন এবং স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, "রাজপথ ছাড়বেন না। সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা আমাদের মতামত জানাব।" তিনি আন্দোলনকারীদের অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

শনিবার শাহবাগে দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, "২৪ ঘণ্টার মধ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন ঘোষণা না করা হলে ঢাকাকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।" ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারের পেছন থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার হুমকি দেয়।

এছাড়া, শাহবাগে এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ঘোষণা করেন, "এখনো প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।" এরপর শাহবাগ থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে এগিয়ে যায়, কিন্তু পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা বাড়ায়।

আন্দোলনের এই কর্মসূচির মধ্যে সরকার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আয়োজন করে এবং আন্দোলনকারীদের আরও একদিন সময়সীমা দেওয়া হয়। এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য ইসলামপন্থী দলগুলোর নেতারা এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

১২০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন