আবদুল হামিদের লাল পাসপোর্টে বিদেশযাত্রা, ইমিগ্রেশনে ছিল না বাধা

শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫ ৫:৪৮ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ লাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে থাইল্যান্ড গেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে জানা গেছে, তিনি গত বুধবার রাত ৩টার দিকে টিজি-৩৪০ ফ্লাইটে ব্যাংককের উদ্দেশে যাত্রা করেন। তার ব্যবহৃত পাসপোর্ট নম্বর ছিল ডি-০০০১০০১৫, যা একটি কূটনৈতিক (ডিপ্লোম্যাটিক) পাসপোর্ট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা ও সেবা বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট একটি পরিপত্র জারির মাধ্যমে অনেক সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্যসহ ৯৭ জনের লাল পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। এরপর পাসপোর্ট অধিদপ্তর অনেক পাসপোর্ট লক করে দেয়। তবে রাষ্ট্রপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও কূটনীতিকদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়নি।
বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পাসপোর্ট বাতিল বা বন্ধ করার বিষয়ে মন্ত্রণালয় কিংবা আদালত থেকে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। পাসপোর্টটি সচল রয়েছে এবং তিনি নিয়ম অনুযায়ী লাল পাসপোর্ট ব্যবহারের অধিকারী।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন শাখার সূত্র জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতির ভিআইপি টার্মিনালে আগমনের পর সংশ্লিষ্ট ওসি ইমিগ্রেশন বিষয়টি আলফা-১১ ইউনিটের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই) কে অবগত করেন। উভয় সংস্থার পক্ষ থেকে অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করা হয়।
এছাড়া, ইমিগ্রেশন সিস্টেমে তার বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ মন্তব্য বা নিষেধাজ্ঞা পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি অনুযায়ী ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য, সাবেক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তার পুত্র রিয়াদ আহমেদ (পাসপোর্ট নম্বর: বি০০-৬৯৮৮০) এবং শ্যালক ডা. এ এন এম নওশাদ খান (পাসপোর্ট নম্বর: এ০৭৯৫০৬৯১) থাইল্যান্ড গমন করেছেন।
১১৯ বার পড়া হয়েছে