আমরা যেন নিজস্ব সংস্কৃতি মূল্যায়নে পিছিয়ে না থাকি: ফারুকী

বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ ১:২২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে শুরু হয়েছে তিন দিনের জাতীয় পর্যায়ের বর্ণিল অনুষ্ঠানমালা।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংগীত ও রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয় এ আয়োজনের।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, “বাংলাদেশের প্রকৃতি এবং ভাবুকদের সংস্পর্শ রবীন্দ্রনাথকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। বিশেষ করে গগন হরকরা ও লালন শাহর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল, এবং তাঁদের অনেক গান, কবিতা রবীন্দ্রনাথ নিজ উদ্যোগে ছাপিয়েছিলেন।”
ফারুকী ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে আরও বলেন, “আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রাথমিক প্রকাশভঙ্গি হলো সংগীত। এই গানগুলো কেবল সুর নয়, এর মধ্যে রয়েছে কবিতা ও দর্শন। আমরা যেন নিজস্ব সংস্কৃতি ও দর্শনের মূল্যায়নে পিছিয়ে না থাকি।”
অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ’। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ সহজ শব্দে গভীর ভাবনা প্রকাশ করেছেন। তাঁর লেখনী আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের অমূল্য সম্পদ।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিক, এবং স্মারক বক্তব্য প্রদান করেন ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক মনসুর মুসা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
আলোচনা সভা শেষে শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় গান ও নৃত্য উপভোগ করেন অতিথিরা। এরপর শুরু হয় নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। পুরো কুঠিবাড়ি এলাকা সাজানো হয়েছে বর্ণিল রূপে। এর সামনে বসেছে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলা, যা বহু বছর ধরে আয়োজনের অংশ হিসেবে দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে আসছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মানুষ অংশ নিচ্ছেন এই আয়োজন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশে।
১২৮ বার পড়া হয়েছে