ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: দু'দেশের সরাসরি এনএসএ পর্যায়ে যোগাযোগ

বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ ৭:১৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি বাড়তে থাকা সামরিক উত্তেজনার মধ্যে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা (NSA) সরাসরি যোগাযোগ করেছেন।
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার নিশ্চিত করেছেন, পাকিস্তানের এনএসএ ও আইএসআই প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনীর ভারতের এনএসএ অজিত ডোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন।
দার জানান, আলোচনা হয়েছে, তবে সেই আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই সংলাপের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক তৎপরতা। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মার্কো রুবিও উভয় দেশের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করেছেন।
এদিকে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান কৌশলগত ও দ্রুত জবাব দিয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানিয়েছেন, পাকিস্তান ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। তার মধ্যে একটি ছিল ফ্রান্সে তৈরি চতুর্থ ও অর্ধ প্রজন্মের ‘রাফালে’ যুদ্ধবিমান।
চৌধুরী আরও জানান, “আমরা চাইলে ১০টি জেট নামাতে পারতাম, কিন্তু আমরা সংযম দেখিয়েছি।”
তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বা দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো এই ক্ষতির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। ‘দ্য হিন্দু’ প্রথমে তিনটি জেট ভূপাতিত হওয়ার খবর দিলেও পরে তা সরিয়ে ফেলে।
এক মার্কিন বিশ্লেষক সিএনএনকে বলেন, “যদি রাফালে গুলি করে নামানো হয়ে থাকে, তবে এটি ভারতের জন্য একটি বড় ধাক্কা।” ফরাসি একটি গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, এটি হবে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো কোনো রাফালের পতন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘর্ষ চীনা ও পশ্চিমা সামরিক প্রযুক্তির একটি সরাসরি প্রতিযোগিতা হিসেবে দেখা যেতে পারে। পাকিস্তান সম্প্রতি চীনের তৈরি জে-১০সি যুদ্ধবিমান যুক্ত করেছে, যা ভারতের রাফালের প্রতিদ্বন্দ্বী।
২০১৯ সালের বালাকোট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান যেখানে সময় নিয়েছিল, এবার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, ইসলামাবাদ আগে থেকেই ‘কুইড প্রো কো প্লাস’ নীতিতে প্রস্তুত ছিল, যার অর্থ ছিল—ভারতীয় আঘাতের জবাবে শুধু পাল্টা নয়, বরং অতিরিক্ত জবাব দেওয়া।
বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের এনএসএ পর্যায়ে সরাসরি যোগাযোগ যেমন উত্তেজনা প্রশমনে সহায়ক হতে পারে, তেমনি সামরিক সংঘাত এবং চীনা প্রযুক্তির উত্থান দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত ভারসাম্য নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।
১২০ বার পড়া হয়েছে