সীমান্ত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ

বৃহস্পতিবার , ৮ মে, ২০২৫ ৪:১১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারত-পাকিস্তান চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
দেশের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করতে সীমান্ত সংলগ্ন জেলার পুলিশ সুপারদের (এসপি) সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংঘাতের সুযোগ নিয়ে সীমান্ত পথে সন্ত্রাসী, মাদক চোরাকারবারি বা অন্য কোনো অনুপ্রবেশকারী যেন প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সব ধরনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা উসকানিমূলক পোস্ট ঠেকাতে সাইবার ইউনিটগুলোকে সতর্ক করে নজরদারি চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের আটটি বিভাগের মধ্যে ছয়টি বিভাগের ৩২টি জেলার ভারতের সঙ্গে এবং তিনটি জেলার মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। রাঙামাটি জেলার সীমান্ত রয়েছে উভয় দেশের সঙ্গেই। এসব জেলায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) যৌথভাবে কাজ করছে।
গতকাল (বুধবার) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, “ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের কারণে আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য সীমান্ত এলাকার পুলিশ কর্মকর্তাদের আগেই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি, সিলেট, লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন সীমান্ত জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনার পর সীমান্ত এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত থানাগুলোকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি ও পুলিশ সমন্বয়ে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা আরও জানান, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে, যাতে কেউ বিদ্বেষমূলক বা উসকানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে। এক্ষেত্রে গুজবের বিরুদ্ধে সত্য তথ্য তুলে ধরার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
কুমিল্লার এসপি মো. নাজির আহমেদ খান বলেন, “বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পুলিশ সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে।” একই কথা বলেন খাগড়াছড়ির এসপি মো. আরেফিন জুয়েল, যিনি জানান যে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সার্বিকভাবে সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট জেলার কর্মকর্তারা।
১১৭ বার পড়া হয়েছে