দুদকের অভিযানে ফাঁস বিআরটিএ পাবনা কার্যালয়ের দুর্নীতি

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ ২:২২ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পাবনা কার্যালয়ে দালাল ও ঘুষ ছাড়া কোনো সেবা পাওয়া যায় না—দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকস্মিক অভিযানে উঠে এসেছে এমনই ভয়াবহ চিত্র।
বুধবার (৭ মে) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থিত বিআরটিএ কার্যালয়ে এই অভিযান চালান দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর। অভিযানকালে উপস্থিত সেবাপ্রার্থীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা অনিয়ম ও হয়রানির তথ্য উঠে আসে।
সহকারী পরিচালক জানান, “সেবাপ্রার্থীদের অনেকেই জানিয়েছেন, ঘুষ ও দালালের সহায়তা ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না। কেউ কেউ জানিয়েছেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ১০-১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়েছে। এমনও অভিযোগ এসেছে, ২০১৯ সালে আবেদন করে কাগজপত্র জমা দিলেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। পরে দালালের মাধ্যমে টাকা দিলে তবেই কাজ হয়েছে।”
ভুক্তভোগী ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা রবিন হোসেন জানান, “২০১৯ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করি। পাঁচ বছর ধরে ঘুরেছি, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। ২০২৪ সালে আবার আবেদন করে লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষা দিয়ে শেষ পর্যন্ত লাইসেন্স পাই। প্রথমবার ১০ হাজার টাকা দালালকে দিই, দ্বিতীয়বার খরচ হয় ৯ হাজার টাকা।”
দুদক জানায়, এসব অভিযোগের প্রমাণস্বরূপ রেকর্ড সংগ্রহ করা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানো হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিআরটিএ’র পাবনা অফিস দীর্ঘদিন ধরে দালালচক্রের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করে আসছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, নবায়ন কিংবা রুট পারমিট—সব সেবার ক্ষেত্রেই দালাল ছাড়া সেবা পাওয়া দুষ্কর। এই বিষয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে আগেও।
১১৯ বার পড়া হয়েছে