‘অপারেশন সিঁদুর’: ধ্বংস ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি, জয়শঙ্করের পোস্টে জানা গেছে তথ্য

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ ৭:৩১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জম্মু ও কাশ্মীরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের ভেতরে ও আজাদ কাশ্মীরে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত।
বুধবার ভোররাতে চালানো এই অভিযানকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’। ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে পরিচালিত এ অভিযানে অন্তত ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত।
ভারতের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইয়্যেবা এবং হিজবুল মুজাহিদিন-এর ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা হয়েছে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে। গোয়েন্দা সূত্র অনুযায়ী, এই অভিযানে অন্তত ৮০ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, মুরিদকেতে লস্কর-ই-তইয়্যেবার আদর্শিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ‘মসজিদ ও মারকাজ তাইয়্যেবা’ ধ্বংস করা হয়, যেটিকে ভারত দীর্ঘদিন ধরে ‘সন্ত্রাসের নার্সারি’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে।
ভারতের দাবি, হামলার লক্ষ্যবস্তু ৯টি স্থানের মধ্যে ৪টি পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে এবং ৫টি আজাদ কাশ্মীরে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুযায়ী, কোনো পাক সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করা হয়নি, তবে পাক সেনাবাহিনী, আইএসআই এবং এসএসজি এই জঙ্গি ঘাঁটিগুলোর সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল।
বুধবার দিল্লিতে এক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্র জানান, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হামলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। ভারতীয় সময় রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ২৫ মিনিট ধরে চলে এই অভিযান। ব্রিফিংয়ে অভিযানের ভিডিওচিত্রও উপস্থাপন করা হয়।
এই ঘটনার পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে বলেন, “বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখাতে হবে।” তিনি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও ফোনালাপে ভারতীয় অবস্থান তুলে ধরেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ‘অপারেশন সিঁদুর’ ভারতের কৌশলগত, আবেগঘন এবং সাংস্কৃতিক বার্তা বহন করে। এটি শহীদদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কঠোর অবস্থানকে তুলে ধরেছে।
তবে এই ঘটনার পর উপমহাদেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
১৩০ বার পড়া হয়েছে