পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ৮, আহত অন্তত ৩৫

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ ৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভারতের চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানে অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তানের আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার পর পাকিস্তানের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ ও মুজাফ্ফরাবাদ অঞ্চলে ভারতের পক্ষ থেকে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এসব হামলায় কয়েকটি মসজিদ, ঘরবাড়ি ও বেসামরিক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট এলাকায় একটি মসজিদে হামলায় একটি শিশু নিহত ও ১২ জন আহত হন। কোটলিতে নিহত হয়েছেন দুই বেসামরিক নাগরিক। মুজাফ্ফরাবাদে একটি সড়কে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলেও তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই ‘কাপুরুষোচিত’ হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হচ্ছে। হামলার পর পাকিস্তানি বাহিনী স্থল ও আকাশপথে প্রতিক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানানো হয়।
এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের এক সামরিক অভিযানের আওতায় পাকিস্তান ও পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থাপনায় আঘাত হানা হয়েছে। ভারতীয় বাহিনীর দাবি, এই অভিযানে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনাগুলোকে নিশানা করা হয়নি।
গত ২২ এপ্রিল ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন। তার পর থেকেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
মুজাফ্ফরাবাদের বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়াহিদ বিবিসিকে জানান, "রাতের প্রথম বিস্ফোরণে বাড়ি কেঁপে ওঠে। ঘুম ভেঙে দৌড়ে রাস্তায় বের হই, দেখি আশপাশের মানুষও আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। শিশুদের কান্না, মহিলাদের চিৎকারে পুরো এলাকা এক বিশৃঙ্খল পরিবেশে রূপ নেয়।"
তিনি বলেন, মুজাফ্ফরাবাদের বিলাল মসজিদ ছিল সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু। যদিও সাধারণ নামাজের জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত এ মসজিদে কখনো সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়েনি।
বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই চলছে বলে জানায় আইএসপিআর। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে সীমান্তবর্তী ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে।
১২৬ বার পড়া হয়েছে