সর্বশেষ

সারাদেশ

৮ বছর পর রহস্যভেদ, থাপ্পড়ের বদলায় স্বামীকে খুন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫ ২:৪৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
চট্টগ্রামের রাউজান থানায় ৮ বছর আগে দায়ের হওয়া ‘ক্লু-লেস’ বা প্রমাণবিহীন একটি হত্যা মামলার রহস্য আজ উদঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এ ঘটনায় নিহত নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী নাসিমা আক্তারসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নিহতের স্ত্রী নাসিমা আক্তার আদালতে স্বামী হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অপর দুই আসামী হলেন, নিহতের আপন ভাই জসিম উদ্দিন এবং সিএনজি অটোরিকশা চালক আবুল কালাম।

সিআইডি চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার ছত্রধর ত্রিপুরা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই রাউজান থানার দক্ষিণ সত্তর্¡া গ্রামের একটি মজা পুকুর থেকে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য তার ভাই জসিম উদ্দিন এবং মেয়ে ইসরাত জাহানকে ডিএনএ পরীক্ষায় পাঠানো হয়। পরীক্ষায় লাশটি নিহত নাজিম উদ্দিনের বলে সনাক্ত করা হয়।

তদন্তে জানা যায়, নিহত নাজিম উদ্দিন প্রবাসে থাকাকালীন তার ছেলে নিখোঁজ হয়ে যায়। ছেলের নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে নাজিম দেশে ফিরে আসেন। এসময় তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হতো। একদিন পারিবারিক কলহের এক পর্যায়ে নাজিম তার স্ত্রীর সাথে তর্কে জড়িয়ে চড় মারেন। এর জেরে স্ত্রীর ধাক্কায় নাজিমের মাথা দরজার চৌকাঠে আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।

স্বামী মারা যাওয়ার পর নাসিমা আক্তার তার স্বামীর মৃতদেহ বাড়ির এক কক্ষে লুকিয়ে রাখেন এবং পাসপোর্টসহ অন্যান্য কাগজপত্র পুড়িয়ে ফেলেন। তিনি সবাইকে জানান, নাজিম রাগ করে বিদেশ চলে গেছে। এক সপ্তাহ পর, নাসিমা তার সহযোগীদের সহায়তায় নাজিমের লাশ বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে ফজল করিম মেম্বারের পুকুরে ফেলে দেন।

সিআইডি কর্মকর্তা ছত্রধর ত্রিপুরা আরও জানান, তদন্তে প্রকাশ পায় যে, নাসিমা আক্তারের স্বামীর আপন ভাই জসিমের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এমনকি, নাজিমের মৃত্যু পরেও জসিম থানায় গিয়ে নিখোঁজ ডায়েরি করেন। মনে হচ্ছে, নাসিমা ও জসিমের সম্পর্কের কারণে নাজিমের হত্যায় জসিমও জড়িত ছিল।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন