চান্দিনায় সাবেক রেলমন্ত্রীর শ্বশুরবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫ ২:৩৪ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুমিল্লার চান্দিনায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের শ্বশুরবাড়ি মীরাখোলা মুন্সি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (৫ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের মীরাখোলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা এলডিপি (লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি) কর্মী-সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
হামলাকারীরা, যারা প্রায় ৭০-৮০ জন ছিলেন, আলাউদ্দিন মুন্সি ও নাছির উদ্দিন মুন্সির ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালান এবং মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেন। হামলার শিকার আলাউদ্দিন মুন্সি জানান, তার মুরগির ফার্মের এক শ্রমিক, কামাল, প্রায় এক বছর আগে বিদায় নেন। তবে ওই শ্রমিক পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে সোমবার তার বাড়িতে আসে। আলাউদ্দিন জানান, শ্রমিককে জানানো হলে তারা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলে চলে যান, কিন্তু রাতের পর হামলার শিকার হন তারা।
আলাউদ্দিন মুন্সি আরও জানান, রাত ১২টার পর হামলাকারীরা তাদের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু করেন, যার ফলে তিনি ও তার ভাই কোনোরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চারজনকে আটক করে।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন মীরাখোলা গ্রামের মো. রনি (১৮), মো. রহিম (৪০), মোখলেছুর রহমান (৬৫) ও আব্দুল করিম (৪০)। আলাউদ্দিনের স্ত্রী পারভীন বেগম অভিযোগ করেছেন, হামলাকারীরা তাদের চারটি আলমারি ভেঙে ৩৫ ভরি স্বর্ণালংকার, চারটি টিভি, দুটি এসি, তিনটি ফ্রিজ, সিসি ক্যামেরাসহ আসবাবপত্র লুটপাট করেছে। হামলার সময় শিশুরা ভয়ে খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ে।
হামলার সঙ্গে জড়িত একজন অভিযুক্ত, কামাল, দাবি করেছেন যে, সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের শ্বশুরদের আমলে এলাকাবাসীর ওপর অত্যাচারের কারণে তাদের এই প্রতিশোধমূলক হামলা। তিনি বলেন, এলাকা থেকে সরকারি টাকায় নির্মিত পাকা রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যা ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী এ ধরনের হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে এলডিপি চেয়ারম্যান একেএম সামছুল হক মাস্টার জানিয়েছেন, হামলায় এলডিপি কর্মী-সমর্থকদের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ উল ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১৪ বার পড়া হয়েছে