সর্বশেষ

জাতীয়

দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে দুই পুত্রবধূ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫ ৫:১৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দীর্ঘ চার মাস যুক্তরাজ্যে উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ মঙ্গলবার সকালে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

তার সঙ্গে দেশে এসেছেন তার দুই পুত্রবধূ, প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান এবং তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। বেগম জিয়ার প্রত্যাবর্তনে দেশজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার কিছু পরে বেগম জিয়াকে বহনকারী কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে গুলশানের বাসভবন 'ফিরোজা' পর্যন্ত পুরো পথজুড়ে বেগম জিয়াকে একনজর দেখার জন্য এবং তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থক ভিড় করেন।

বেগম জিয়াকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। সকাল থেকেই রাজধানী এবং এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অসংখ্য নেতাকর্মী ও সমর্থক বিমানবন্দর সড়কের দিকে ছুটে আসেন। তারা হাতে ফুল, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড এবং বেগম জিয়ার ছবি নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তাদের মুহুর্মুহু স্লোগানে বিমানবন্দর সড়ক ও সংলগ্ন এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। "জিয়া, জিয়া, খালেদা জিয়া!", "খালেদা জিয়া ফিরে এসেছেন, গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে!" - এমন নানা স্লোগানে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হয়।

বিমানবন্দর থেকে সরাসরি গুলশানের নিজ বাসভবন 'ফিরোজা'তে যান বেগম খালেদা জিয়া। পথে নেতাকর্মীদের ভিড়ের কারণে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিলেন।

বেগম জিয়াকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি বাংলাদেশ সময় গতকাল রাতে লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর ত্যাগ করে। পথে কাতারের রাজধানী দোহায় যাত্রাবিরতি করে এটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

লন্ডনে বেগম জিয়াকে বিদায় জানান তার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি তার মাকে বাসা থেকে নিজে বিমানবন্দরে নিয়ে যান। লন্ডনে অবস্থানকালে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বেগম জিয়ার চিকিৎসার তত্ত্বাবধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যে যান। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বিশেষভাবে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেন, যেটিতে করে তিনি লন্ডনে যান। এবারও কাতারের আমিরের দেওয়া সেই একই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে তিনি দেশে ফিরেছেন। এটি দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের একটি নিদর্শন।

লন্ডনের খ্যাতনামা লন্ডন ক্লিনিকের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি এবং অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা হয়। টানা সতেরো দিন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছিলেন এবং সেখানেই তার পরবর্তী পরিচর্যা চলছিল।

দীর্ঘ চার মাস পর প্রিয় নেত্রীকে কাছে পেয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে যে আবেগ ও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে, তা বেগম জিয়ার প্রতি তাদের ভালোবাসা ও সমর্থনেরই বহিঃপ্রকাশ। তার দেশে ফেরা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে অনেকে মনে করছেন।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন