কুমিরের মুখ থেকে সিনেম্যাটিক উদ্ধার অভিযানে বেঁচে ফিরলেন ৫ জন

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫ ৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বলিভিয়ার আমাজন অঞ্চলে এক রোমাঞ্চকর উদ্ধার অভিযানের ঘটনা সাড়া ফেলেছে দেশজুড়ে।
কুমিরে ভর্তি এক জলাভূমিতে জরুরি অবতরণের পর ৩৬ ঘণ্টা আটকে থাকার পর পাইলটসহ পাঁচ আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বলিভিয়ার বেনি বিভাগের রাডার থেকে হঠাৎই উধাও হয়ে যায় একটি ছোট উড়োজাহাজ, যা বাউরেস শহর থেকে ত্রিনিদাদ শহরের পথে ছিল। উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দিলে পাইলট আন্দ্রেস ভেলার্দে সেটিকে ইতানোমাস নদীর কাছের এক জলাভূমিতে অবতরণ করাতে বাধ্য হন।
উড়োজাহাজটিতে থাকা তিন নারী, এক শিশু ও ২৯ বছর বয়সী পাইলট অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান। তবে তাঁদের দুর্দশা সেখানেই শেষ হয়নি—চারপাশে কুমিরের ভিড়, পানিতে অ্যানাকোন্ডার উপস্থিতি এবং কোনো রকম যোগাযোগের অভাব তাঁদের বিপদে ফেলে দেয়।
ভেলার্দে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা উড়োজাহাজের ছাদে দাঁড়িয়ে ছিলাম, চারপাশে কুমিরেরা ঘুরছিল। কোনো কোনো কুমির তিন মিটারেরও কম দূরত্বে চলে এসেছিল।’’ তাঁর অনুমান, বিমানের ট্যাংক থেকে পড়া পেট্রলের গন্ধই হয়তো কুমিরগুলোকে দূরে রেখেছিল।
টিকে থাকার জন্য যাত্রীদের কাছে থাকা সামান্য কাসাভা ফ্লাওয়ারেই ভরসা করতে হয় তাদের। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পানির সংকট। ‘‘কুমিরদের জন্য আমরা পানি পান করতে পারিনি, কোথাও যেতে পারিনি,’’ বলেন পাইলট।
শুক্রবার স্থানীয় জেলেরা নিখোঁজ উড়োজাহাজটির খোঁজ পেলে, দ্রুত একটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয় ঘটনাস্থলে। বেনি বিভাগের জরুরি কেন্দ্রের পরিচালক উইলসন আভিলা জানান, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা শারীরিকভাবে ভালো আছেন এবং বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বেনি অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক রুবেন টোরেস বলেন, নিখোঁজের পর নানা গুজব ছড়ালেও শেষ পর্যন্ত সবাই একসঙ্গে কাজ করে আরোহীদের জীবিত উদ্ধার করতে পেরে তারা সন্তুষ্ট।
১৩২ বার পড়া হয়েছে