ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে প্রতি রাতেই চলছে গোলাগুলি

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫ ৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কাশ্মীরের পেহেলগামে রক্তক্ষয়ী হামলার রেশ না কাটতেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর টানা ১১ রাত ধরে চলছে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি।
সর্বশেষ রোববার রাতে কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, রাজৌরি, মেন্ধার, নওশেরা, সুন্দরবনি ও আখনুর সেক্টরে ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে গুলি বিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনারা একতরফাভাবে গুলি ছুঁড়ছে, যার জবাব তারা দিচ্ছে। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে দুই দেশ একে অপরের সেনা আটক করেছে। ২৩ এপ্রিল ভারতের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাহু সীমান্ত অতিক্রম করে পাকিস্তানে ঢুকে পড়লে তাকে পাকিস্তান রেঞ্জার্স আটক করে। এর পাল্টা হিসেবে ৩ মে রাজস্থানে এক পাকিস্তানি রেঞ্জারকে আটক করে ভারতীয় বিএসএফ।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন পর্যটক। ভারত ওই হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুললেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। হামলার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে, আতারি সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করে। এর জবাবে পাকিস্তান আকাশসীমা বন্ধসহ ভারতের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য স্থগিত করে।
অতিরিক্ত উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তান শনিবার ‘আবদালি’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে, যা ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম। ভারত এটিকে ‘উসকানিমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরপর দুই দিন সামরিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। শনিবার সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এবং রবিবার ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এপি সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
১১৬ বার পড়া হয়েছে