সর্বশেষ

সারাদেশ

মেঘনায় ইলিশের সঙ্কট, বিপাকে চাঁদপুরের জেলেরা

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর প্রতিনিধি

সোমবার, ৫ মে, ২০২৫ ৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা ইলিশ ধরতে নামলেও জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। নদীতে দেখা দিয়েছে ইলিশের সংকট, যার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলোতেও।

গত বুধবার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে মেঘনায় জাল ফেলছেন জেলেরা। কিন্তু দিনের পর দিন পরিশ্রম করেও হাতে গোনা পাঁচ-ছয়টি ইলিশ মিলছে একেকটি ট্রলারে, যা দিয়ে ডিজেলের খরচও উঠছে না। ট্রলারপ্রতি প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হলেও ইলিশ বিক্রি করে মিলছে মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। ফলে লোকসান নিয়ে বাড়ি ফিরছেন জেলেরা, যা তাদের সংসারে বাড়াচ্ছে অনিশ্চয়তা।

মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল বাবুরবাজারের জেলে ফুল চান বর্মণ বলেন, “দুই মাস মাছ ধরতে পারিনি, অনেক কষ্টে সংসার চালিয়েছি। এখন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও নদীতে ইলিশ নেই।” একই অভিযোগ আমিরাবাদ এলাকার রিপন বর্মণ, মো. হোসেন ও সঞ্জিত বর্মণসহ আরও অনেক জেলের।

মৎস্য কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, নদীতে পানির চাপ কম থাকায় ইলিশ ধরা পড়ছে না। মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, “এখন নদীতে পানির প্রবাহ কম, তাই ইলিশ মিলছে না। সামনে পূর্ণিমা আসছে, তখন পানির চাপ বাড়বে এবং ইলিশও ধরা পড়বে বলে আশা করছি।”

রোববার মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন বাজার, সুজাতপুর, ছেংগারচর, আমিরাবাদ, উপজেলা সদর, বরদিয়া আড়ং, মুন্সিরহাট ও নারায়ণপুর—ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ইলিশের দেখা নেই। বিক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিন ক্রেতারা ইলিশের খোঁজ করছেন, কিন্তু সরবরাহ না থাকায় তারা অন্য মাছ কিনে নিচ্ছেন।

জেলেরা এখন প্রহর গুনছেন পূর্ণিমার অপেক্ষায়, তখনই নদী ও বাজারে ফিরে আসবে সোনালি রূপালী ইলিশ, এমনটাই আশা সবার।

১১৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন