আয়কর ফাঁকিরোধে কঠোর হচ্ছে এনবিআর, কর্মকর্তাদের জন্য টার্গেট নির্ধারণ

রবিবার, ৪ মে, ২০২৫ ১২:৪৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
আয়কর রিটার্ন না দেওয়া এবং কর ফাঁকির প্রবণতা রোধে কঠোর অবস্থান নিতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এবার থেকে যারা রিটার্ন জমা দেন না কিংবা কর ছাড় নেন, তাদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায়ে কর কর্মকর্তাদের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য (টার্গেট) নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
রবিবার রাজধানীর বনানীতে এক হোটেলে “আসন্ন বাজেট: রাজস্ব খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সেমিনারের আয়োজন করে ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই), ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই)।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ এবং স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার স্নেহাশীষ বড়ুয়া।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “প্রথম থেকেই দেশে বিপুল পরিমাণে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়ে আসছে। বর্তমানে যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ হয়, তার সমপরিমাণ অর্থ কর ছাড়ের কারণে হাতছাড়া হয়।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, অনেকেই কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) নিলেও রিটার্ন দাখিল করেন না, যার ফলে নিয়মিত করদাতাদের ওপর চাপ বাড়ে।
এনবিআর চেয়ারম্যান জানান, কমিশনারেট পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে যে, তারা কত করদাতাকে রিটার্নের আওতায় আনছে এবং রিবেট পাওয়া গ্রাহকদের থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করছে, তা পরিমাপ করা হবে। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত এনবিআরের ৯২ শতাংশ রাজস্ব উৎসে করসহ বিভিন্ন মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আসে, মাত্র ৮ শতাংশ রাজস্ব সরাসরি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে আসে। নতুন ব্যবস্থায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা যাচাই করা সম্ভব হবে।”
চেয়ারম্যান আরও বলেন, সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণের চাপ বেড়েছে, তাই এভাবে কর ছাড় দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়। নতুন করছাড় নীতিতে ছাড় দেওয়ার ক্ষমতা সংসদের হাতে থাকবে, এবং আসন্ন বাজেটে ব্যবসায়িক পরিবেশ সহজ করার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি রাজস্ব আহরণ নিশ্চিত করা হবে।
১১৬ বার পড়া হয়েছে