সর্বশেষ

সারাদেশ

ধামরাইয়ে বিমান বাহিনীর সদস্যকে মারধরের অভিযোগে ২ এএসআই প্রত্যাহার

মোঃ রাসেল হোসেন, ধামরাই
মোঃ রাসেল হোসেন, ধামরাই

রবিবার, ৪ মে, ২০২৫ ৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকার ধামরাই উপজেলায় ছুটিতে থাকা বিমান বাহিনীর এক সদস্যকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই হাতকড়া পরিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই এএসআইয়ের বিরুদ্ধে।

অভিযুক্তরা হলেন ধামরাই থানার এএসআই সেলিম ও এএসআই শহীদুর রহমান।


ঘটনার পর শনিবার (৩ মে) ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাদের প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।

ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন (কর্পোরাল), পাবরাইল গ্রামের বাসিন্দা, ঘটনার পরদিন শুক্রবার ধামরাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

স্থানীয় সূত্র ও জিডি থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানসহ চারজন পুলিশ সদস্য জসিম উদ্দিনের বাড়িতে যান। এ সময় তারা দাবি করেন, জসিম উদ্দিনের নামে গ্রেফতার পরোয়ানা আছে এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাকে হাতকড়া পরিয়ে রাস্তায় নিয়ে গিয়ে মারধর করেন।

জসিম উদ্দিন বারবার নিজের পরিচয় ও ওয়ারেন্ট দেখতে চাইলেও অভিযুক্ত এএসআইরা তা উপেক্ষা করেন। পরে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে এএসআই সেলিম থানায় ফোন করে জানতে পারেন, জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো ওয়ারেন্ট নেই; বরং তার ছোট ভাই সুমনের নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে।

খবর পেয়ে কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই অমল কুমার রায় ঘটনাস্থলে গিয়ে জসিম উদ্দিনের হাতকড়া খুলে দেন। পরে এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমান বিষয়টি ঊর্ধ্বতনদের না জানানোর অনুরোধ করে জসিম উদ্দিনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর অভিযুক্ত এএসআই সেলিম ও শহীদুর রহমানকে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত চলবে।

ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, মূলত পুলিশ জসিম নামে এক ব্যক্তির ছোট ভাই সুমনকে ধরতে গিয়েছিল, যার বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় ওয়ারেন্ট রয়েছে। পুলিশ উপস্থিত হতে দেখে জসিম প্রথমে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ তাকে দৌড়ে ধরে হাতকড়া পরায়। এরপর জসিম বিমান বাহিনীর সদস্য পরিচয় দিলে পুলিশ তার হাতকড়া খুলে দিয়ে ছেড়ে দেয়। ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “এটি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি ছিল।”

২২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন