ঈশ্বরদীর লালপুর ইউএনও’র অভিযানে উত্তেজনা, ভুক্তভোগীদের ক্ষোভ

রবিবার, ৪ মে, ২০২৫ ৯:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাবনার ঈশ্বরদীর সাড়া এলাকায় নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবিরের নেতৃত্বে পরিচালিত এক অভিযানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযানে নিয়মবহির্ভূত প্রবেশ, মালামাল লুট এবং চারজনকে আটক করে কারাদণ্ড দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা।
শনিবার (৩ মে) বিকেলে ঈশ্বরদীর সাড়া ঘাট এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এই অভিযোগ জানান।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুলতান আলী বিশ্বাস টনি বলেন, “আমরা সরকারি অনুমোদন নিয়ে ও নিয়ম মেনে পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি। কিন্তু শুক্রবার (২ মে) লালপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার সেনাবাহিনীর একটি দল নিয়ে অভিযান চালান, চারজনকে আটক করেন এবং আমাদের ড্রেজার, নৌকার সেলফ, ব্যাটারি, টুলবক্স, মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যান।”
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, “পাবনা ও ঈশ্বরদী প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা জেনেছি, অভিযানের জন্য তাদের কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। এছাড়া আটককৃতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও মালামাল লুট করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।”
অন্য এক ভুক্তভোগী মেহেদী হাসান বলেন, “আমরা বৈধভাবে ব্যবসা করি ও সরকারি কোষাগারে টাকা দেই। কিন্তু এভাবে অভিযান চালিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে লালপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুল কবির বলেন, “আমরা ঈশ্বরদীর ভেতরে অভিযান চালাইনি, শুধু সাড়াঘাট পয়েন্ট ব্যবহার করেছি। আটককৃতরা অবৈধ বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ছিল। অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।”
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুবীর কুমার দাশ বলেন, “বালু মহলে অভিযান চালানো নিয়ে আমাদের আপত্তি নেই। তবে এক জেলা থেকে আরেক জেলায় অভিযান চালাতে হলে যৌথভাবে অনুমতি নিয়ে অভিযান করতে হয়। লালপুরের সহকারী কমিশনার তা না করে আইন ভঙ্গ করেছেন, যা খুবই অনুচিত। আমি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।”
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
১২৩ বার পড়া হয়েছে