সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: ইসরাইলে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ৪ মে, ২০২৫ ৮:৪৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রোববার ভোরে ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেলআবিবের বেন গুরিয়ন।

রোববার ভোরে ইসরাইলের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, তেলআবিবের বেন গুরিয়ন, একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও প্রমাণ। ধারণা করা হচ্ছে, এই হামলা ইয়েমেন থেকে পরিচালিত হয়েছে এবং এতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অন্তত দুই সদস্য নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

হামলার পরপরই বিমানবন্দরের সমস্ত ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়। ফলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বহু ফ্লাইট বাতিল বা অন্য রুটে পাঠানো হয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) স্বীকার করেছে যে, তারা ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার এই ব্যর্থতার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে। বিস্ফোরণের পরপরই এলাকাটি ঘিরে ফেলে উদ্ধার ও তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়।

ঘটনার দায় কেউ এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও, মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষকরা এটিকে হুথি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন। সম্প্রতি গাজা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে ইয়েমেন, লেবানন ও ইরানঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলো ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।

বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, যদি সত্যিই এই হামলায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকে — যা ইসরাইলের প্রচলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আওতার বাইরে — তাহলে এটি মধ্যপ্রাচ্যে এক নতুন সামরিক বাস্তবতার সূচনা করতে পারে।

হামলার কৌশলগত গুরুত্বও অনেক। বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর শুধু একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়, এটি ইসরাইলের কূটনৈতিক ও সামরিক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। সেখানে আঘাত হানা মানে ইসরাইলের নিরাপত্তা ও মর্যাদার ওপর সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া।

একই সঙ্গে ইয়েমেন সম্প্রতি লোহিত সাগর দিয়ে আমেরিকান তেল পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা ইঙ্গিত দেয়— তারা শুধু প্রতিরক্ষামূলক নয়, বরং আক্রমণাত্মক কৌশলেও যাচ্ছে।

এই ঘটনাগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, ইসরাইল এখন একটি বহুমুখী ফ্রন্টে যুদ্ধের মুখোমুখি— যেখানে শুধু গাজা নয়, ইয়েমেন, লেবানন, এমনকি ইরান থেকেও হুমকি বাড়ছে। এতে শুধু ইসরাইল নয়, পুরো অঞ্চলেই উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে, যার পরিণতি হতে পারে আরও বিস্তৃত সংঘাত।

১৪০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন