শ্রমিক অধিকার ও মর্যাদার প্রতি সম্মান জানিয়ে কুষ্টিয়া-৪ আসনে শেখ সাদীর দৃঢ় অঙ্গীকার

বৃহস্পতিবার , ১ মে, ২০২৫ ৩:১৫ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
মহান আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদার জন্য নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালন করা হয়েছে শ্রমিক শ্রেণীর শ্রম ও সংগ্রামের ইতিহাস।
বিশেষ করে কুমারখালী-খোকসা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনসমূহের উদ্যোগে সংগঠিত শ্রমিক র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে একত্রিত হয়ে তাদের অধিকার ও মর্যাদার দাবিতে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের (কুমারখালী-খোকসা) বিএনপির দলীয় প্রার্থী ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সাদী।
১ মে সকালে কুমারখালী ও খোকসা শহর এবং এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় এই কর্মসূচিগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। শ্রমিক র্যালিতে অংশগ্রহণকারী শ্রমিক, এনজিও কর্মী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ একসাথে হাঁটেন দেশের অর্থনীতিতে শ্রমিক শ্রেণীর অবদান ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য। পরে আলোচনা সভায় বক্তারা শ্রমিকদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম ও ভবিষ্যতের জন্য তাঁদের দাবিগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশিত গান, কবিতা ও নাটক শ্রমিকদের জীবন সংগ্রাম ও সাহসের গল্প বলেন।
বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থকসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। র্যালিটি খোকসা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে নানা শ্লোগান দেন। পরে এক আলোচনা সভায় বক্তারা শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং দেশের উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের অবদানকে স্বীকৃতি দেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী ও স্থানীয় শিল্পীরা শ্রমিক শ্রেণীর প্রতি সম্মান ও সমর্থনের বার্তা বহন করে নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, শ্রমিকরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের শ্রমের যথোপযুক্ত মূল্যায়ন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একইসাথে, শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষা ও সামাজিক মর্যাদার জন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
শেখ সাদী বলেন, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সন্তান হিসেবে আমি এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করছি। আমি বিশ্বাস করি, অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শ্রমিকের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে আমরা সবাই একসাথে থাকব এবং তাদের জন্য একটি সুন্দর, মর্যাদাপূর্ণ কর্মজীবনের জন্য কাজ করে যাব। ভবিষ্যতেও শ্রমিকদের সঙ্গে থাকবো, তাদের কণ্ঠস্বর হয়ে তাদের দাবি তুলে ধরবো।
শ্রমিক দিবসের এই কর্মসূচি প্রমাণ করে, শ্রমজীবীর অধিকার রক্ষায় দেশের সব স্তরে সচেতনতা ও ঐক্য আরও জোরদার করতে হবে। কারণ, শ্রমিকের শ্রমই দেশের মূল চালিকা শক্তি। তাদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
১৭০ বার পড়া হয়েছে