সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধের আশঙ্কা, ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ আছে পাকিস্তান

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ৮:৪১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর কয়েক দিন ধরে টানা গোলাগুলির পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

দুই দেশই একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করছে।

এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, দেশটি যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বাহিনীকে প্রস্তুত রেখেছি। পরিস্থিতি যেকোনো সময় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এবং সে অনুযায়ী কৌশলগত সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।”

কাশ্মিরে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় দুই ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ভারত দাবি করেছে, হামলায় জড়িতদের মধ্যে অন্তত দুজন পাকিস্তানি নাগরিক। তবে পাকিস্তান এই অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।

পরে সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ বলেন, “যুদ্ধের আশঙ্কা রয়েছে, আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।” যদিও জিও নিউজকে দেওয়া আরেক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, তার বক্তব্য যেন ভুলভাবে ব্যাখ্যা না করা হয়। তিনি শুধুমাত্র বলেছেন, “পরবর্তী দুই থেকে চার দিন পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।”

পাকিস্তান ইতোমধ্যেই বিভিন্ন মিত্র দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ শুরু করেছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, চীন, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং কাতার দুই পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গু জিয়াকুন বলেন, “ভারত ও পাকিস্তান যেন সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে এবং আঞ্চলিক শান্তি বজায় রাখে।”

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানায়, তারা দুই দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ রাখছে এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে কাজ করছে। একই ধরনের বার্তা এসেছে তুরস্ক ও কাতারের দিক থেকেও।

উল্লেখ্য, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্কের ইতিহাসে কাশ্মির দীর্ঘদিন ধরেই একটি স্পর্শকাতর ইস্যু হিসেবে রয়ে গেছে। সাম্প্রতিক এই উত্তেজনা ভবিষ্যতের জন্য নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে।

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন