ভোটের পরিবেশ সুনিশ্চিত করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ৭:১০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভোটাররা যেন নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে তিন দিনব্যাপী ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, “এই নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, তা নিশ্চিত করতে পুলিশের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল প্রার্থীর প্রতি সমান আচরণ এবং ভোটারদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করাই হবে আপনাদের অগ্রাধিকার।”
তিনি আরও বলেন, “মনে রাখবেন, অন্যায়ভাবে নির্বাচিত ব্যক্তির দ্বারা ন্যায় প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই কারো হাতিয়ার হয়ে যাবেন না। বরং সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে আপনার দায়িত্ব পালন করুন।”
নির্বাচনের প্রাক্কালে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই সময়টিকে তিনি ‘জটিল ও স্পর্শকাতর’ হিসেবে আখ্যা দেন এবং পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান যেন কোনো অশুভ শক্তি দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এক ধরনের যুদ্ধাবস্থায় আছি—যেখানে আমাদের স্বপ্ন ও ঐক্য ভাঙার ষড়যন্ত্র চলছে। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীকে সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন আন্দোলনের সময়ে পুলিশ সদস্যদের ধৈর্যশীল ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি। আগামী দিনগুলোতেও একই ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতা বজায় রাখার আহ্বান জানান তিনি।
পুলিশকে ‘মানুষের বন্ধু’ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইউনূস বলেন, “পুলিশের প্রতি জনসাধারণের প্রত্যাশা বিশ্লেষণে এবার প্রথমবারের মতো ধর্মীয় নেতা, সাংবাদিক ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এটি প্রতি বছর নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।”
তিনি বলেন, “জনগণের সঙ্গে পুলিশের দূরত্ব কমিয়ে আনতে এই ধরনের সংলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
১০৭ বার পড়া হয়েছে