বিতর্কিত মিহির কান্তি মজুমদারের নামে দুদকের ছয় মামলার অনুমোদন

মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইউনাইটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর প্রোগ্রামড অ্যাকশনসের (উদ্দীপন) ১৫৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ছয়টি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
যেকোনো দিন মামলাগুলো দায়ের করা হবে। ছয়টি মামলায় বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব ও আওয়ামীপন্থী সাবেক সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদারকে আসামি করা হচ্ছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হচ্ছে। তারা হলেন—উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সদস্য ভবতোষ নাথ, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, মো. মাহবুবুর রহমান, শওকত হোসেন, ডা. আবু জামিল ফয়সাল, রেহানা বেগম, নির্বাহী পরিচালক ও সিইও বিদ্যুৎ কুমার বসু, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও সিইও এবং মেম্বার সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সদস্য রেজা সেলিম। এ মামলাটি করবেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, এনজিও “ইউনাইটেড ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ ফর প্রোগ্রামড অ্যাকশনস” (উদ্দীপন) নামক প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক কর্তৃপক্ষের আইন, বিধি ও সার্কুলারের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের অর্থ বিভিন্ন প্রকল্প এবং কোম্পানির নামে মোট প্রায় ১৫৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক স্বার্থের পরিপন্থী।
দুদক বলছে, যেহেতু উদ্দীপন সমাজসেবা অধিদপ্তর এবং যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের অধীন সোসাইটিজ অ্যাক্ট, ১৮৬০ অনুযায়ী নিবন্ধিত এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর লাইসেন্সপ্রাপ্ত, সেহেতু প্রতিষ্ঠানটিকে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় উল্লিখিত এজেন্ট হিসেবে গণ্য করা যায়। এমতাবস্থায়, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় সংগৃহীত আমানত ও তহবিলের ব্যবস্থাপনা ও দায়িত্বভার গ্রহণ করে ওই তহবিল মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪(৩) ধারা ও বিধিমালা (২০১০)-এর বিধি ১৯(১)(ক) লঙ্ঘন করে অব্যবস্থাপনা করে বিশ্বাসভঙ্গ করেছে। সে হিসেবে উদ্দীপনের তৎকালীন চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনায় সংগৃহীত আমানত ও তহবিলের ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষের আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন অননুমোদিত প্রকল্পে বিনিয়োগ করে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত; এই মিহির কান্তি মজুমদার অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অনুসারী। সাবেক সচিব ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এবং উদ্দীপন এনজিও'র চেয়ারম্যান। বরগুনা সদর আসন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন সাবেক এই আমলা। নৌকার মনোনয়নপত্রও তুলেছিলেন। কর্মজীবনে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার নামও মিহির কান্তি মজুমদার। চাকরি জীবনে তিনি যে প্রতিষ্ঠানে গেছেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই ডুবিয়েছেন। লোপাট করে পথে বসিয়েছেন। তবে প্রতিষ্ঠানকে হাতিয়ার বানিয়ে নামে-বেনামে বিপুল অর্থ তছরুপ করে বিপুল বিত্তের মালিকও বনে গেছেন মিহির কান্তি।
২৩০ বার পড়া হয়েছে