সর্বশেষ

সারাদেশ

ইটভাটার গ্যাসে ধামরাইয়ে শত শত বিঘা ধান পুড়ে ছাই

মোঃ রাসেল হোসেন, ধামরাই
মোঃ রাসেল হোসেন, ধামরাই

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:১৯ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটার নির্গত গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শত শত বিঘা জমির পাকা ধান। সোনালি ফসল পরিণত হয়েছে ধূসর পোড়া ছাইয়ে।

ধান কাটার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে এমন বিপর্যয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার সুতিপাড়া, বাসনা ও নান্দেশ্বরী এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি ইটভাটার গ্যাসের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ১০০ হেক্টরের বেশি জমির ধান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অবিলম্বে ইটভাটা মালিকদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবির পাশাপাশি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ক্ষতির পরিসংখ্যান
কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুরে আরবিসি ইটভাটার গ্যাসে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫০-৬০ হেক্টর জমিতে। সানোড়া ইউনিয়নের বাসনা নয়াপাড়া এলাকায় টাটা ব্রিকসের গ্যাসে পুড়েছে প্রায় ৩০ হেক্টর এবং সুতিপাড়ায় লায়ন ও দাদা ব্রিকসের গ্যাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ২৫ হেক্টর জমির ধান।

কৃষকদের কণ্ঠে হতাশা
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, “বোরো মৌসুমের এই ফসল দিয়েই আমাদের সারা বছরের খরচ চলে। এখন ফসল কাটার ঠিক আগ মুহূর্তে এমন ধ্বংস হলে পরিবার-পরিজন নিয়ে কিভাবে চলবো, সেটাই ভাবতে পারছি না। ক্ষতিপূরণ না পেলে আমরা পথে বসে যাব।”

ইটভাটা কর্তৃপক্ষের অস্বীকার
তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। লায়ন ব্রিকসের ম্যানেজার দাবি করেছেন, তাদের ভাটার গ্যাসে কোনো ধান পোড়েনি। বরং তিনি অভিযোগ করেছেন, দাদা ব্রিকসের গ্যাসেই ধানের ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন না কিভাবে ধান পুড়ে। বেশি রোদের কারণেও ধান পুড়তে পারে।”

প্রশাসনের অবস্থান
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান জানান, “আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে।”

১০৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন