দেশের চার জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু, এর মধ্যে ৪ শিক্ষার্থী ও ১ নারী

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
দেশের বিভিন্ন জেলায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন চার শিক্ষার্থী ও এক নারীসহ মোট ১০ জন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত নেত্রকোনা, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জে পৃথক পৃথক ঘটনায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা: দুই কৃষক ও দুই শিক্ষার্থী নিহত
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পূর্বধইর পূর্ব ইউনিয়নের কোরবানপুর এলাকায় বজ্রপাতে নিখিল চন্দ্র দেবনাথ ও জুয়েল ভূঁইয়া নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়। তারা কৃষি জমিতে কাজ করছিলেন। আহত হন আরও তিনজন।
একইদিন বরুড়া উপজেলার পয়ালগাছা গ্রামে বজ্রপাতে মারা যায় দুই স্কুলছাত্র—১৩ বছর বয়সী ফাহাদ হোসেন ও ১৪ বছর বয়সী মোহাম্মদ জিহাদ। মাঠে ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বজ্রপাতে তারা আহত হন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান। বরুড়া থানার ওসি নাজমুল হাসান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ: নারীসহ তিনজন নিহত
সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম ও মিঠামইনের তিনটি হাওরে বজ্রপাতে প্রাণ হারান তিনজন। তারা হলেন—অষ্টগ্রামের হালালপুর গ্রামের ইন্দ্রজিত দাস (৩০), খয়েরপুর গ্রামের স্বাধীন মিয়া (১৪) এবং মিঠামইনের রানীগঞ্জ গ্রামের ফুলেছা বেগম (৬০)।
তারা সবাই হাওরে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের শিকার হন। অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন থানার পুলিশ কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুনামগঞ্জ: কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে বজ্রপাতে মারা যান রিমন তালুকদার (২০)। তিনি শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। সকালে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একটি গরুও মারা যায়।
নেত্রকোনা: শিশু শিক্ষার্থী ও মাদ্রাসা শিক্ষক নিহত
নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী গ্রামে বজ্রপাতে মারা যায় ১০ বছর বয়সী আরাফাত। ফজরের নামাজের পর মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বজ্রপাতের শিকার হয় সে।
অন্যদিকে রোববার রাতে কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নে বজ্রপাতে দিদারুল হক নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষক মারা যান। তিনি বৃষ্টির মধ্যে মাদ্রাসায় ফেরার পথে বজ্রপাতে প্রাণ হারান।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
১০৮ বার পড়া হয়েছে