আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো: তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আরও এক মাস সময়

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১০:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার উপকণ্ঠে আশুলিয়ায় ছয়জনকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় এক মাস বাড়ানো হয়েছে।
আগামী ২৫ মে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলাটি এদিন ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকার দুই নম্বরে ছিল। যদিও এদিনই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল, রাষ্ট্রপক্ষ সময় বৃদ্ধির আবেদন জানায়। প্রসিকিউশন পক্ষ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটনার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে হত্যাকাণ্ডের মুহূর্ত ধরা পড়েছে। এই নতুন প্রমাণ যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে বলে সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়।
প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, “তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে নতুন করে একটি ভিডিও আমাদের হাতে এসেছে, যেখানে স্পষ্টভাবে হত্যাকাণ্ডের কিছু দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এই নতুন প্রমাণ সংযোজন এবং বিশ্লেষণের জন্য আরও কিছু সময় প্রয়োজন।”
আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৫ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে।
এদিন মামলার পাঁচ আসামি—সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, সাবেক উপপরিদর্শক মালেক ও কনস্টেবল মুকুল চোকদার—কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
শুনানি শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও আমাদের হাতে আসে। এতে দেখা গেছে, কীভাবে ও কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এই নতুন তথ্য উপেক্ষা করে আমরা প্রতিবেদন জমা দিতে পারি না।”
তবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি স্বীকার করেন যে, এটি সময়ক্ষেপণ নয় বরং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার অংশ। তাঁর ভাষায়, “তথ্য আসা এক চলমান প্রক্রিয়া। তদন্তের স্বার্থে এই সময় বাড়ানো হয়েছে, বিচারের বিলম্ব নয়, বরং সঠিক বিচার নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
১০৬ বার পড়া হয়েছে