খাদ্য মূল্যস্ফীতির লাল তালিকায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশ: বিশ্বব্যাংক

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ৭:২৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাদ্য মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ এখনও ‘লাল শ্রেণিতে’ অবস্থান করছে।
গত প্রায় দুই বছর ধরে বাংলাদেশ এ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। ২০২৫ সালের প্রথমার্ধে প্রকাশিত এই হালনাগাদ প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৭২টি দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতির তথ্য বিশ্লেষণ করে এমন চিত্র তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৫ থেকে ৩০ শতাংশের মধ্যে, তাদের ‘লাল শ্রেণিতে’ রাখা হয়। বাংলাদেশের গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত এক বছরে ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, যা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য যথেষ্ট। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত টানা ১০ মাস বাংলাদেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের বেশি। গত জুলাইয়ে তা পৌঁছায় ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে—গত ১৩ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ এখন লাল শ্রেণিতে রয়েছে। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে আছে কঙ্গো, অ্যাঙ্গোলা, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, মাদাগাস্কার, ঘানা, ভারত, লাওস, লেসেথো, তিউনিসিয়া, জাম্বিয়া, বেলারুশ ও রাশিয়া।
বিশ্বব্যাংক প্রতিবছর দুইবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির ভিত্তিতে দেশগুলোকে চারটি ভাগে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়:
বেগুনি শ্রেণি: ৩০ শতাংশ বা তার বেশি মূল্যস্ফীতি
লাল শ্রেণি: ৫ থেকে ৩০ শতাংশ
হলুদ শ্রেণি: ২ থেকে ৫ শতাংশ
সবুজ শ্রেণি: ২ শতাংশের কম
সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্য ও শস্যের দাম কিছুটা কমলেও ভবিষ্যতে সরবরাহ সংকট ও জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ভুট্টার দাম ইতোমধ্যে ১৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, তবে চালের দাম নেমেছে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
খাদ্য মূল্যস্ফীতির দিক থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, সৌদি আরব, ম্যাকাও, চীন, ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড ও বেনিন। অন্যদিকে, সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেগুনি শ্রেণিতে রয়েছে ছয়টি দেশ—মালাওয়ি, দক্ষিণ সুদান, হাইতি, মিয়ানমার, আর্জেন্টিনা ও তুরস্ক।
বিশ্বব্যাংকের এই প্রতিবেদন দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে ভাবনার অবকাশ তৈরি করেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
১০৩ বার পড়া হয়েছে