সর্বশেষ

জাতীয়

তীব্র গরমে বিদ্যুৎ সংকট: লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ৭:২২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
তীব্র গরমে বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের জনজীবন। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়মিত লোডশেডিং হচ্ছে।

এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, ব্যাহত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যও।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত শনিবার দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল ১৫,৭৮৪ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহ করা হয়েছে ১৫,৬৪৫ মেগাওয়াট—যার ফলে সাবস্টেশন পর্যায়ে লোডশেডিং হয়েছে ১৩৯ মেগাওয়াট। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সিস্টেম লস ও অবচয়ের কারণে গ্রাহক পর্যায়ে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবার লোডশেডিং পরিস্থিতি এখনও গত বছরের মতো ভয়াবহ না হলেও গরমের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংকট আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, শনিবার বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে রাজধানীতে মেট্রোরেল এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখতে হয়।

পিডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান ভিত্তি গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। দেশে গ্যাসভিত্তিক মোট ৭১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকলেও জ্বালানি সংকটে এর সবগুলো চালানো সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিদিন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চালাতে অন্তত ১,৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন হলেও পেট্রোবাংলা মাত্র গড়ে ৯৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে।

জ্বালানির ঘাটতির পাশাপাশি রয়েছে অর্থনৈতিক সংকটও। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান রবিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানির ঘাটতি দেখা দিয়েছে বিগত সময়ের ভুল পরিকল্পনার কারণে। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার খরচ নিয়ন্ত্রণে ও অপচয় কমানোর কাজ করছে। বিদেশি কোম্পানির বকেয়া অনেকটা পরিশোধ করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, বর্তমানে গড়ে ১৬,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। গ্রীষ্মে এই চাহিদা ১৮,০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এ পরিস্থিতিতে তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর উৎপাদন আরও বাড়ানোর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “লোডশেডিং পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও তা যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সে চেষ্টা করা হচ্ছে।”

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকারকে দৈনিক প্রায় দেড় লাখ টন ফার্নেস অয়েল, ১৫-১৬ হাজার টন ডিজেল এবং ৪০ হাজার টন কয়লা সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমানে দেশে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২৬,৯০০ মেগাওয়াট হলেও বাস্তবে ব্যবহৃত হচ্ছে তার অর্ধেকেরও কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভর্তুকি বাড়িয়ে উৎপাদন বাড়ানো গেলে তা সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর চাপ ফেলবে। তাই সরকারের কাছে লোডশেডিং মেনে নিয়ে সাশ্রয়ী নীতি অনুসরণের পরামর্শই এখন সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন